ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ব্র্যাক ব্যাংক সমকাল সাহিত্য পুরস্কার পেলেন তিন সাহিত্যিক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৭ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৬
ব্র্যাক ব্যাংক সমকাল সাহিত্য পুরস্কার পেলেন তিন সাহিত্যিক ছবি: জি এম মুজিবুর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ব্র্যাক ব্যাংক সমকাল সাহিত্য পুরস্কার ২০১৫, পেলেন তিন সেরা সাহিত্যিক কবি নির্মলেন্দু গুণ, রাজকুমার ও স্বকৃত নোমান। প্রত্যক সাহিত্যিককেই পুরস্কার হিসেবে ১ লাখ টাকার চেক, উত্তরীয়, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।

 

শুক্রবার (২৭ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রে ব্র্যাক ব্যাংক ও সমকাল আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ তিন সাহিত্যিককে পুরস্কার দেয়া হয়।

পুরস্কার প্রধান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সমকালের নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজ সফি, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি একে আজাদ চৌধুরী, ব্যাংক ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও সিইও সেলিম আর এফ হোসেন। জুরি বোর্ডের সদস্য কবি আসাদ চৌধুরী ও মস্তোফা নূরুল ইসলাম।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এ পুরস্কার দেশের কবি, সাহিত্যিকদের বিশেষ করে তরুণ লেখকদের সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করবে। একই সঙ্গে এটি দেশের তরুণ উদীয়মান লেখকদের সৃষ্টিশীল কাজের একটি প্লাটফর্ম হিসেবে ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি পাঠকরা পাবে রুচিশীল বই পড়ার সুযোগ। আমি আশা করবো এ ধরনের উদ্যোগ আরও বিস্তৃত হবে।

এবারের বছরের সাহিত্যের ৩টি ক্যাটাগরিতে নির্মলেন্দু গুণ তার ‘রক্ষা করো হে ভৈরব’ গ্রন্থের জন্য কবিতা ও কথাসাহিত্য শ্রেণীতে, রাজকুমার সিংহ তার ‘মৈত্রেয়ী নেই, মৈত্রেয়ী আছে’ গ্রন্থের জন্য প্রবন্ধ, ভ্রমণ ও অনুবাদ শ্রেণীতে এবং স্বকৃত নোমান তার ‘কালকেউটের সুখ’ গ্রন্থের জন্য ‘হুমায়ুন আহমেদ তরুণ সাহিত্যিক’ পুরস্কার দেওয়া হয়।

এটি ব্র্যাক ব্যাংক সমকালের পঞ্চম সাহিত্য পুরস্কার। সাহিত্যে মেধা ও মননশীলতা প্রসারের লক্ষ্যে ২০১১ সালে এ সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া শুরু করে যৌথভাবে ব্র্যাংক ব্যাংক ও দৈনিক সমকাল।

অনুষ্ঠানে কবি নির্মেলেন্দু গুণকে কবিতা ও কথা সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা করেন জুরি বোর্ডের সদস্য মস্তোফা নূরুল ইসলাম। তার ‘রক্ষা করো হে ভৈরর’ গ্রন্থের জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
কবি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আর ৫ মাস পরেই আমার ৭১ বছর পূর্ণ হচ্ছে। এ সময়ে প্রতিবছরই অনেক লেখকদের পুরস্কার পেতে দেখেছি। এতে আমার আক্ষেপ দিন দিন বাড়ছিলো। কিন্তু চলতি বছরে প্রথম থেকেই পুরস্কার পেতে শুরু করেছি। এ নিয়ে গত ৫ মাসে ৬টি পুরস্কার পেয়েছি। এর মধ্যে একুশে পদক (রাস্ট্রীয় পদক) তদবির করে পেয়েছি। আর বাকি ৫টি পুরস্কার পেয়েছি অবদান হিসেবে।

‘মৈত্রেয়ী নেই, মৈত্রেয়ী আছে’ গ্রন্থের জন্য রাজকুমার সিংহকে আত্মজীবনী, ভ্রমণ ও অনুবাদ (কবিতায়) ক্যটাগরিতে পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেন কবি আসাদ চৌধুরী। লেখকের অসুস্থ মেয়ের মৈত্রী চিকিৎসা নিয়ে লেখা। চিকিৎসায় কত ধরনের লাঞ্ছনা গঞ্জনা সইতে হয় তার বর্ণনা।
এছাড়া স্বকৃত নোমানকে ‘কালকেউটের সুখ’ গ্রন্থের জন্য ‘হুমায়ুন আহমেদ তরুণ সাহিত্যিক’ পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেন ব্র্যাক ব্যাংকের সিইও সেলিম আরএফ হোসেন।

এ বছর পুরস্কারের জন্য তিনটি ক্যাটাগরিতে মোট ৪৭২টি বই জমা পড়ে। চার সদস্য বিশিষ্ট জুরি বোর্ড সেখান থেকে সেরা তিনটি বই নির্বাচন করেন। জুরি বোর্ডে ছিলেন- জাতীয় অধ্যাপক মুস্তফা নূরুউল ইসলাম, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, কবি আসাদ চৌধুরী এবং কথা সহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

বাংলাদেশ সময়:০২০৭ ঘণ্টা, ২৮ মে, ২০১৬
এমএফআই/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।