ঢাকা: সড়ক, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, আইটি ও অবকাঠামো খাতে বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। ফলে বাজেটের আকারও প্রতিনিয়তই বেড়েই চলেছে।
২০০৯-১০ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা। এর পরে ২০১০-১১ অর্থবছরে ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দুই লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী মুহিত।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাজেটের আকার হতে পারে তিন লাখ ৪০ হাজার থেকে তিন লাখ ৫০ লাখ হাজার কোটি টাকা মতো।
বাজেটের আকার বড় হওয়ায় এডিপি’র আকারও বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সব মিলিয়ে ১ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন (এডিপি) কর্মসূচির অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। আর ৫১টি খাতে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা এডিপি নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে সরকারি নিজস্ব তহবিল থেকে ৭০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন অর্থবছরে এডিপিতে প্রকল্পের সংখ্যা ১ হাজার ২৯৬টি। স্বায়ত্ত্বশাসিতসহ মোট উন্নয়ন বাজেট দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।
পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ থেকে দেখা গেছে, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০০৯ থেকে গত ৮ বছরে এডিপি’র আকার বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৩০ শতাংশ। বিগত ৫ বছর বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধির গড় ছিল ৬ দশমিক ৩ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ অতিক্রম করে। সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনার প্রধান হাতিয়ার এডিপি প্রণয়ন, খাতওয়ারী সম্পদ বন্টনসহ এডিপি পর্যালোচনা ও সংশোধন।
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব তারিক-উল-ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাজেটর আকার বাড়ায় অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রেই সুফল পাচ্ছি। বাজেট বাড়ায় বাড়ছে এডিপি’র আকারও। ফলে বড় বড় প্রকল্পে বরাদ্দও বাড়ছে। বড় বড় প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি জিডিপি প্রবৃদ্ধিও বাড়ছে’।
বাজেট ও জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা অর্থনীতিতে যা কিছু করি না কেন আমাদের লক্ষ্য জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি বাড়ানো।
রেমিটেন্স, রফতানি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ার কারণে বাজেটসহ অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রের পরিধি বাড়ছে। সামনে হয়তো আরও বড় প্রকল্প হাতে নিতে হবে। তখন বাজেটের আকার আরও বাড়বে। আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। এ কাজগুলো সম্পন্ন হয়ে গেলে বাজেটের আকার আরও কয়েকগুণ বাড়বে’।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর