ঢাকা: ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া বা জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে কাঁচামাল আমদানির নামে বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ হচ্ছেই না। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অর্থপাচার সম্পর্কিত তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন ৩২৪টি প্রতিষ্ঠানের নাম, যারা বিভিন্ন মিথ্যা ঠিকানা ব্যবহার করে বড় অঙ্কের অর্থ বাংলাদেশ থেকে পাচার করেছে।
এনবিআরের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠান তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভারত, মালয়েশিয়া, চীন, ওমান, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, ভিয়েতনাম, ডেনমার্কসহ ২১টি দেশ থেকে পণ্য আমদানির নামে অর্থ পাচার করেছে। পণ্য আমদানির নামে অর্থপাচারে সর্বোচ্চ এক কোটি ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত একবারে পাঠানো হয়েছে। শুল্ক, ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সন্দেহের বাইরে থাকতেই এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়।
বন্ড সুবিধাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকায় অদিতি অ্যাপারেলস লিমিটেডের নামের এক প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ আছে ৭৪৪ শেওড়াপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা। ওই ঠিকানায় গিয়ে অদিতি অ্যাপারেলস লিমিটেড নামে কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব পায়নি এনবিআরের তদন্ত কমিটি। কিন্তু গত দুই বছরে প্রতিষ্ঠানটি কাগজে-কলমে বেশ কয়েক দফায় দুই কোটি ৩৩ লাখ ৬২ হাজার ৪৭৭ টাকার কাঁচামাল আমদানি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া বা জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে কাঁচামাল আমদানির নামে অর্থ পাচার হয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির নামে মিথ্যা ঘোষণায় কম দামের কিছু পণ্য এনে খোলাবাজারে বিক্রি করা হয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত পৃথক কমিটি এ বিষয়ে তদন্ত করে যাচ্ছে। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক, এনবিআরের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে বন্ড সুবিধাপ্রাপ্তদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন। সেই সঙ্গে চিহ্নিত সেই ৩২৪ প্রতিষ্ঠান কাগজে-কলমে যে ঠিকানা ব্যবহার করেছে সেখানে সরেজমিনে গিয়ে তদন্তে অর্থপাচারের বিষয়টি নিশ্চিত হন তাঁরা।
বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদেশে যেসব প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে অর্থ পাচার করা হয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করতে এনবিআরের একাধিক কমিটি দ্বৈত কর চুক্তির আওতায় তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে, এনবিআরের তালিকায় শতভাগ রপ্তানিমুখী বন্ড সুবিধাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান আছে সারা দেশে প্রায় ছয় হাজার। এর মধ্যে ৩২৪টি প্রতিষ্ঠানের নাম তালিকাভুক্ত থাকলেও বাস্তবে এদের কোনো অস্তিত্ব নেই। কাগজে-কলমের এসব প্রতিষ্ঠান ভুয়া বা জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে বন্ড সুবিধার আওতায় প্রায় দুই বছর থেকে পণ্য আমদানির নামে অর্থ পাচার করেছে।
ওই ৩২৪ প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই তৈরি পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠানের আওতায় জালিয়াতি করে অর্থ পাচার করে আসছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা হিসেবে ঢাকার মিরপুর, বনানী, যাত্রাবাড়ী, সাভার, নারায়ণগঞ্জ, টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকার কথা উল্লেখ আছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর মিপুরের সেকশন ১২, ব্লক বি, রোড ২, বাড়ি নম্বর ৩২ ঠিকানা ব্যবহার করা জেকোস্ গার্মেন্ট লিমিটেড কাঁচামাল আমদানির নামে ১২ কোটি ৩১ লাখ ৬৯ হাজার ৭৭৭ টাকা পাচার করেছে। মিরপুরের ৬৫৯/১ নম্বর কাজীপাড়ার ঠিকানা উল্লেখ করা এবি প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠানের নামে একই কায়দায় এক কোটি ৪৩ লাখ ৪৬ হাজার ৩১৮ টাকা পাচার করা হয়।
একই প্রক্রিয়ায় কাঁচামাল আমদানির নামে মিরপুরের ৭৩৮ শেওড়াপাড়ার ঠিকানা ব্যবহার করে একেএস পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ১৯ কোটি ৬৭ লাখ ৩৫ হাজার ৩৯৪ টাকা, প্লট নম্বর ৬২, ২০৩, ২০৪ বারইপাড়া সাভারের ঠিকানা দেখিয়ে জেনারেল অ্যাপারেলস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে তিন কোটি ৪৪ লাখ ৯০ হাজার ৮৪৪ টাকা, নর্থ যাত্রাবাড়ীর ঠিকানা দেখিয়ে আইডিয়াল গার্মেন্ট লিমিটেডের নামে দুই কোটি ২১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৯২ টাকা, মিরপুর ১-এর প্লট নম্বর ২২, রোড নম্বর ১-এর ঠিকানা দেখিয়ে জয়ন্তিকা অ্যাপারেল লিমিটেড ১০ কোটি ৭০ লাখ ৩৩ হাজার ২৬৬ টাকা, ১২৫/৩ সাউথ মিরপুরের ঠিকানা দেখিয়ে এবি গার্মেন্ট লিমিটেড আট কোটি ৫২ লাখ ৫৭ হাজার ১৩৯ টাকা, উত্তরার প্লট নম্বর ৮৭৮, বিএনএস সেন্টার (১৩ ও ১৪ নম্বর ফ্লোর), রোড নম্বর ৭, সেক্টর নম্বর ৭-এর ঠিকানা দেখিয়ে বলাকা অ্যাপারেলস লিমিটেড তিন কোটি ৬১ লাখ ১৩ হাজার ৪৬৫ টাকা, ২৩ উত্তরার ঠিকানা দেখিয়ে ডেল্টা ডায়িং অ্যান্ড ফেব্রিকস লিমিটেড দুই কোটি ৮১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৮৩ টাকা, সাভারের মাজিদপুর বাসস্ট্যান্ড প্লট বি ৩৬, রানা প্লাজা (পঞ্চম তলা) ঠিকানা দেখিয়ে উদার টেক্স লিমিটেড দুই কোটি ৪৭ লাখ ১৪ হাজার ১১৭ টাকা, নারায়ণগঞ্জ, রূপগঞ্জ, ভুলতা, গোলাকান্দাইল ঠিকানা দেখিয়ে এক্সট্রোভার্ট প্লাস্টিক লিমিটেড দুই কোটি ২০ লাখ ২৭ হাজার ১৮৪ টাকা, ৯৭ বানপুকুর, সাভার বাজার ঠিকানা দেখিয়ে ফুজি নিট অ্যান্ড ফ্যাশনওয়্যার লিমিটেড ১৪ কোটি ১৮ লাখ ৭৬ হাজার ৭৭৫ টাকা পাচার করেছে।
এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, অস্তিত্বহীন (কাগুজে প্রতিষ্ঠান) ৩২৪ প্রতিষ্ঠান আমদানির নামে এলসি খুলে বিদেশে টাকা পাঠালেও অধিকাংশ সময়ে কোনো পণ্য আমদানি করা হয়নি। তবে কিছু ক্ষেত্রে মিথ্যা ঘোষণায় নামমাত্র মূল্যের কিছু কাঁচামাল আমদানিও করা হয়েছে, যা পরে খোলাবাজারে বিক্রি করা হয়েছে বলে তদন্তে প্রমাণ মিলেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের তদন্ত কমিটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ‘অর্থপাচারকারীরা দীর্ঘদিন ধরে সুকৌশলে অর্থ পাচার করে আসছে। কাঁচামাল কিনতে বিদেশে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম আমরা পেয়েছি তাতেও জালিয়াতির চূড়ান্ত হয়েছে। আমরা বের করেছি যেসব প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে অর্থ পাঠানো হয়েছে তার অধিকাংশই ওই ৩২৪ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। সহজে জালিয়াতি করতে আগে থেকেই বিদেশে নিজেরাই প্রতিষ্ঠান খুলে নিয়েছে তারা। তবে নিজস্ব মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের বাইরেও বিদেশি অন্য প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় অর্থপাচারের উদাহরণও আছে। এসব ক্ষেত্রে সমঝোতায় অর্থ পাচার করে পরবর্তী সময়ে তা সংগ্রহ করে বিদেশেই রেখে দেওয়া হয়। ’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বিদেশি যেসব প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ব্যবহার করে অর্থ পাচার করা হয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এরই মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি, বাকিগুলোর সন্ধান চলছে। উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ হাতে এলেই মামলা করা হবে। ’
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ৩২৪টি জালিয়াত প্রতিষ্ঠানের অর্থপাচারের বিষয়টি পর্যায়ক্রমে নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিশ্চিত হওয়া মাত্রই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যবসার লাইসেন্স (বন্ড লাইসেন্স) স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বন্ড সুবিধা পাওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকেও তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এভাবে লাইসেন্স ও বন্ড সুবিধা পাওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকে নাম বাদ পড়েছে ৩২৪টি প্রতিষ্ঠানের। অনেক প্রতিষ্ঠানের হিসাবও জব্দ করা হয়েছে। অর্থপাচারকারী প্রকৃত ব্যক্তিরা আড়ালে থেকে মালিক হিসেবে অন্য ব্যক্তির নামে ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে অর্থ পাচার করছে। মালিক হিসেবে যাদের নাম আছে তারা আত্মগোপনে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় জড়িতদের খোঁজা হচ্ছে।
তৈরি পোশাক শিল্পের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি, এনভয় গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, সৎ ও অসৎ ব্যক্তি সব ক্ষেত্রেই আছে। ব্যবসায়ীদের মধ্যেও সৎ ও অসৎ আছে। কেউ যদি বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে দেশের ক্ষতি করে তবে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। অনেক সময় দেখা যায় এনবিআর বা ব্যাংকের অসৎ কর্মকর্তাদের সহায়তায় বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে অর্থ পাচার করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এনবিআর ও ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ওপরও নজরদারি বাড়াতে হবে। এসব পদক্ষেপ নিলেই বন্ড সুবিধার অপব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন এ ব্যবসায়ী নেতা।
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, বন্ড সুবিধার অপব্যবহার রোধে অটোমেশন পদ্ধতিতে যাওয়াই একমাত্র পথ। এনবিআর অর্থপাচার রোধে এখন অনেক তৎপর। আশার কথা, এ ধরনের ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। তবে তদন্ত করে তা ফেলে রাখলেই হবে না। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। পাচার করা অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, রপ্তানিতে সহযোগিতা করতে সরকার শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্পের উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল বন্ড সুবিধায় শুল্কমুক্তভাবে আমদানির সুযোগ দেয়। অর্থাৎ একটি রপ্তানিমুখী কারখানার উৎপাদনে ব্যবহৃত সব কাঁচামাল কোনো ধরনের শুল্ক না দিয়েই আমদানি করা যাবে। এই শুল্কমুক্ত সুবিধা ‘বন্ড সুবিধা’ নামে পরিচিত। বন্ড সুবিধা পাওয়ার অন্যতম শর্ত থাকে, হিসাবমতো কাঁচামাল আমদানি করতে হবে এবং তা খোলাবাজারে বিক্রি করা যাবে না। আমদানীকৃত শুল্কমুক্ত পণ্য সংশ্লিষ্ট কারখানার বন্ডেড ওয়্যার হাউসে মজুদ রেখে উৎপাদনে ব্যবহার করতে হবে।
১৯৯৩ সাল থেকে পোশাক খাতে ইউডি (ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন) ইস্যুর ক্ষমতা তৈরি পোশাক শিল্পের সংগঠন বিজিএমইকে দেওয়া হয়। এতে একটি প্রতিষ্ঠান কী পরিমাণ কাঁচামাল আমদানি করবে তা নির্ধারণ করে দেবে বিজিএমইএ। তবে বন্ড সুবিধা নেওয়া প্রতিষ্ঠান ও বন্ডেড ওয্যারহাউসের অস্তিত্ব যাচাই, আমদানীকৃত কাঁচামালের পরিমাণ এবং তা কারখানার উৎপাদনে সঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে কি না তা নজরদারির দায়িত্ব এনবিআরের।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি বিবেচনায় বন্ড সুবিধার অপব্যবহার রোধে এনবিআর নজরদারি বাড়িয়েছে। আর এতে ওই ৩২৪ প্রতিষ্ঠানের অর্থপাচারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, বন্ড সুবিধার অপব্যবহারে বছরে ৫৮ হাজার কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে সরকারকে। আবার এ অর্থের বড় অংশই পাচার হয়ে যাচ্ছে। অসৎ ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে এনবিআর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। তদন্ত চলছে। এরই মধ্যে বন্ড সুবিধা অপব্যবহারকারী অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে অসৎ ব্যক্তিরা অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে কাগজে-কলমে প্রতিষ্ঠান খুলে এ অপকর্ম করছে, যা এনবিআরের তদন্তে ধরা পড়েছে। জড়িতরা যেখানেই থাকুক আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হবে। প্রয়োজনে সরকারের অন্যান্য সংস্থারও সহায়তা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৮ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৬