সংসদ ভবন থেকে: ব্যাংকিং খাতে লুটপাট নিয়ে সংসদে আবারও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের কঠোর সমালোচনা করলেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট পাসের আগে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে বরাদ্দকৃত অর্থের বিরোধিতা করে ছাঁটাই প্রস্তাব করেন জাতীয় পার্টির এমপিরা।
ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করেন, কাজী ফিরোজ রশিদ, ফখরুল ইমাম, নুরুল ইসলাম মিলন, নুরুল ইসলাম ওমর, সেলিম উদ্দিন। এছাড়া স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজী এবং মো. আব্দুল মতিন ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করেন।
কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, ব্যাংক হচ্ছে লুটপাটের আধার। লুটপাট হবে আর আমরা টাকা দিয়ে যাবো এটা হবে না।
নুরুল ইসলাম মিলন বলেন, টাকা দেওয়ার কোনো অর্থ নেই। হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, আগে ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা আনা দরকার। যে টাকা লুটপাট হয়েছে ও পাচার হয়েছে, সেই টাকা আনতে জাতিকে আশ্বস্ত করবেন কি না?
অর্থমন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্যরা ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের লুটপাট হয়েছে সেই সম্পর্কে তাদের উদ্বেগ এবং ‘কনসার্ন’ প্রকাশ করেছেন। সেজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ব্যাংক সেক্টরে যে লুটপাট হচ্ছে এটা নিয়ে খুবই চিন্তিত এবং এটা যাতে না হয় তার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদেক্ষপ নেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে। হ্যাঁ, আমরা টাকার দায়িত্ব নিয়েছি। এই টাকা গরিব জনগণেরও হতে পারে আবার ধনী জনগণের হতেও পারে। এই টাকা লুটপাট হওয়াতে জনগণের অসুবিধা হয়। রাষ্ট্র জনগণের অসুবিধা করতে দিতে পারে না। এজন্য রাষ্ট্রই এর দায়িত্ব গ্রহণ করবে এবং করছে।
মন্ত্রী বলেন, দুদকে বেসিক ব্যাংকের বিরুদ্ধে সবগুলো মামলা এখনো হয়নি। এই রিপোর্টটা দুদকের কাছে আছে। আস্তে আস্তে মামলা হচ্ছে এবং আপনারা নিশ্চিত থাকেন, যেসব লোকের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে এবং তদন্তে দোষ প্রমাণিত হয়েছে তাদের সবাইকেই দুদক মামলায় সোপর্দ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৬
এসকে/এসএম/জিসিপি/এমজেএফ