ঢাকা: রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বা ফ্ল্যাট কিনতে আগ্রহীদের স্বল্প সুদে ঋণ দেবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।
বুধবার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে রাজউক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন রাজউক চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরী এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবরার এ আনোয়ার।
এ সময় গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি অনুযায়ী, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক রাজউকের প্লট বা ফ্ল্যাট ক্রেতাকে সাড়ে ৮ শতাংশ সুদে সর্বোচ্চ ২৫ বছরের মধ্যে পরিশোধযোগ্য কিস্তিতে ঋণ দেবে। এজন্য ক্রেতাকে প্রথমে ২লাখ টাকা জমা দিয়ে রাজউক থেকে আবেদন সংগ্রহ করতে হবে।
রাজউক প্লট বা ফ্ল্যাটের সম পরিমাণ আবেদন হলে সরাসরি আর আবেদনকারী বেশি হলে লটারির মাধ্যমে ক্রেতা নির্ধারণ করবে। পরবর্তীতে রাজউক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এবং সংশ্লিষ্ট ক্রেতার সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হবে।
চুক্তির পর ক্রেতাকে প্লট বা ফ্ল্যাটের মূল্যের ৫০ শতাংশ ৪ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। বাকি টাকা ২৫ বছরের মধ্যে পছন্দমতো কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঋণের পুরো টাকা পরিশোধ করার আগ পর্যন্ত অ্যাপার্টমেন্টের মালিকানা থাকবে ব্যাংকের কাছে। ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া অ্যাপার্টমেন্ট পরিবর্তন করা যাবে না। ঋণগ্রহীতা খেলাপি (ডিফল্টার) হলে ব্যাংক তৃতীয় পক্ষের কাছে অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করতে পারবে।
এই চুক্তি বাস্তবায়নকালে উভয়পক্ষের মধ্যে কোনো বিরোধ দেখা দিলে আরবিট্রেশন ও দেওয়ানি আদালতের মাধ্যমে তার সমাধান হবে বলেও চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, উভয়পক্ষ সমঝোতার মাধ্যমে এবং যে কোনো এক পক্ষের ৩০ দিনের নোটিশের ভিত্তিতেও চুক্তি বাতিল করা যাবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর উত্তরায় ১৫ হাজার, পূর্বাচলে ৬০ হাজার ও ঝিলমিল প্রকল্পে ১১ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে।
এরমধ্যে উত্তরায় ৮ হাজার ৬শ’ ৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে এসব ফ্ল্যাট ক্রেতাদের হস্তান্তর করা হবে। প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন ১ হাজার ৫শ’ ৫৭ বর্গ ফুট। প্রতি বর্গফুটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৮শ’ টাকা।
প্রতিটি প্রকল্পের ভিতরে লেক, দু’টি মার্কেট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, খেলার মাঠ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৬
এসই/এমজেএফ