ঢাকা: মিনাবাজারের বিভিন্ন শাখায় ভেজালবিরোধী অভিযানে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত দফায় দফায় জরিমানা করলেও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না প্রতিষ্ঠানটির শাখা কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। এসব বিষয়ে কোনো কথা বলা বা মন্তব্য করা তাদের জন্য নিষেধ বলে মিনাবাজার শন্তিনগর শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারিরা জানান।
এই শাখায় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর ভ্রাম্যমান আদালত ভেজালবিরোধী অভিযান চালিয়ে সংরক্ষিত মাছ-মাংসে মেয়াদ লেখা না থাকার কারণে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
এদিকে রোববার(০৭ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এই শাখায় ক্রেতা তেমন একটা নেই বললেই চলে। প্রায় আধ ঘন্টা সময়ের মধ্যে মাত্র একজন ক্রেতাকে সেখানে কেনা-কাটা করতে দেখা যায়।
এই শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারিরা দাবি করেন মিনা বাজারের পণ্যের মানের কোনো সমস্যা নেই। পণ্যের মান যদি ভালই হবে তাহলে ভেজালবিরোধী অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালত কেন জরিমানা করছে বা মিনাবাজার কেন জরিমানা দিচ্ছে, এপ্রশ্নের কোনো জবাব দিতে চান না তারা।
রাজধানীর শান্তিনগরের আইডিয়াল পয়েন্টে মিনাবাজার শান্তিনগর শাখার ইনচার্জ সাজু কুমার সাহার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘যে অভিযোগে আমাদের প্রতিষ্ঠানের জরিমানা করা হয়েছে সে ধরনের নিম্ন মানের কোনো পণ্য আমাদের এখানে বিক্রি হয় না। ’’
‘তাহলে বার কেন ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানা করছে?’-- জানতে চাওয়া হলে সাজু সাহা বলেন, ‘‘জানি না কেন এ রকম করা হচ্ছে। তবে এসব বিষয়ে জানতে হলে আমাদের উচ্চ পর্যায়ে(প্রধান কার্যালয়ে) যোগাযোগ করতে হবে। এসব বিষয়ে আমাদের কথা বলা নিষেধ। মিডিয়ার সঙ্গে আমরা কোনো কথা বলতে পারবো না বা কোনো মন্তব্য করতে পারবো, এই মর্মে উপর থেকে আমাদের বলে দেওয়া হয়েছে। ’’
ভেজালবিরোধী অভিযান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি দাবি করেন, গত প্রায় ৪ বছরে এই শাখায় ভেজালবিরোধী অভিযান চালাতে ভ্রাম্যমান আদালতের লোকজন আসেনি।
এদিকে মিনাবাজারের এই শাখায় দুপুর ১২টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ক্রেতার কোনো ভিড়ই নেই। এ সময় সেখানে একজন ক্রেতাকে দেখা যায় কেনাকাটা করতে। তাসলিমা আক্তার নামের এই ক্রেতা একজন গৃহিণী। তিনি মাঝেমধ্যে মিনাবাজারের এই শাখা থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে থাকেন বলে জানান।
এখানকার পণ্যের মান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি সরাসরি কোনো অভিযোগ না করলেও মান নিয়ে কিছুটা সংশয় প্রকাশ করে বলেন, ‘‘কখনও কখনও সমস্যা থাকে। তবে কেনার সময় এক্সপায়ারি ডেট(মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার সময়) দেখে কিনি। বাসার কাছে হওয়ায় মাঝেমধ্যে এখানে আসা হয়। ’’
প্রায় আধ ঘন্টা অপেক্ষা করেও এই ক্রেতা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো ক্রেতাকে সেখানে আসতে দেখা যায়নি।
এদিকে ক্রেতাদের তরফ থেকে অভিযোগ আসে কিনা জানতে চাওয়া হলে এই শাখার ইনচার্জ বলেন, ‘‘না, তেমন কোনো অভিযোগ আসে না। কখনও কোনো অভিযোগ এলে আমরা ব্যব্যস্থা নিই, জিনিস বদল করে নতুন জিনিস দিয়ে দিই। ’’
বাংলাদেশ সময়: ঘন্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৬
এসকে/জেএম