ঢাকা: রফতানি আয় বাড়াতে এবং রফতানিকারকদের উৎসাহ দিতে নতুন করে প্লাস্টিক পণ্য ও ফার্নিচার রফতানিতে সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
চলতি অর্থবছরে প্লাস্টিক পণ্য রফতানিতে ১০ শতাংশ এবং ফার্নিচার রফতানিতে ১৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হবে।
সোমবার (৮ আগস্ট) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ‘রফতানিতে প্রণোদনা সংক্রান্ত’ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
এতে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দফতর ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে প্লাস্টিক ও ফার্নিচার রফতানি আয় বাড়াতে নগদ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা বেশ কিছু পণ্য রফতানিতে প্রণোদনা হার নির্ধারণ করেছি। যেমন কৃষিপণ্য রফতানির বিপরীতে ২০ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্লাস্টিক ও ফার্নিচার রফতানি করে বছরে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (এক হাজার ২শ’ কোটি টাকা) মতো আয় হয়। এর মধ্যে ফার্নিচার রফতানি করে আসে প্রায় ১১ কোটি ডলার।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ভারত, রাশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ পৃথিবীর ১৫ থেকে ২০টি দেশে ফার্নিচার রফতানি হয়। এক সময় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্লাস্টিক পণ্যের প্রধান বাজার থাকলেও এখন ইউরোপে বেশি রফতানি হচ্ছে।
২০১৩ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি সুবিধা স্থগিত করার পর থেকে প্রতিযোগী অনেক দেশের সঙ্গে টিকতে না পেরে রফতানি গুটিয়ে ফেলেছেন অনেক ব্যবসায়ী।
এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে আমরা রফতানিতে প্রণোদনার দাবি জানিয়ে আসছিলাম। বিশেষ করে জিএসপি সুবিধা বাতিলের পর এ দাবি জোরালো হয়। প্রণোদনা দিলে এ খাত থেকে আয় অনেক বাড়বে।
এদিকে চলতি অর্থবছরে তৈরি পোশাক রফতানিতে প্রণোদনা পূর্বের হার বহাল রাখা হয়েছে। তবে জাহাজ রফতানিতে প্রণোদনার হার ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে জাহাজ রফতানিতে ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হতো, চলতি অর্থবছরে তার বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৬
এটি