ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অফারের নামে পুরনো পণ্য বিক্রি আগোয়ার

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৬
অফারের নামে পুরনো পণ্য বিক্রি আগোয়ার

ঢাকা: একটি নিলে আরেকটি একদম ফ্রি! এমনকি যে পণ্যটি কিনবেন সেই পণ্যের সঙ্গে ফ্রি পণ্যটি বেঁধে জোড়া লাগিয়ে বিক্রির চেষ্টা চলছে আগোরায়। কেনো এতো অফার?
 
খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা গেছে, অফার নয় এটা প্রতারণার ফাঁদ! ক্রেতা হট অফারে চট করে আগোরায় চলে গিয়ে ‍হতাশ হচ্ছেন।

কেননা, পণ্যটি কিনতে গেলেই দেখা যাচ্ছে- এটা অনেক পুরনো পণ্য! শেষ হয়ে গেছে এর মেয়াদ। গত ঈদে যে পণ্যটি বিক্রির জন্য এসেছিলো এখন সেটি আরেকটির সঙ্গে জোড়া লাগিয়ে বিক্রি করে দিতে চাচ্ছে আগোরা।
 
এমন অফারের শত শত পণ্যে ভরা আগোরার মগবাজারের আউটলেট।
 
আবার পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে যে অফার দেওয়া আছে বাস্তবের সঙ্গে সেই অফারের মিল নেই। পদ্মার তরতাজা ইলিশের লোভ দেখিয়ে ক্রেতা নিয়ে এলেও দেখা যাচ্ছে বরফ দিয়ে রাখা অনেক আগের ইলিশ।
 
মগবাজার আউটলেট ঘুরে আরও দেখা গেছে- পুরনো ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া নানা ফল, সবজি দিয়ে ভরা আগোরা।
 
এমন অনেক পণ্য দেখা গেছে, যার গায়ে উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ নেই। নেই বিএসটআই’র সিলও। এসব পণ্য আসল না নকল তাও বোঝার উপায় নেই।
 
ইলিশ কিনতে এসে ডাক্তার গলির বাসিন্দা লিয়াকত জামান বলেন, ‘পত্রিকায় দেখে এলাম, ইলিশের অফার চলছে। কিন্তু আউটলেটির সেলসম্যানরা বলছেন- অফার নেই’।
 
আউটলেটের একজন সেলসম্যন জানান, তিনি অফার সম্পর্কে কিছু্ই জানেন না। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছোট ইলিশে অফার, বড়টিতে নয়।
 
এটা শুনে সেখানে উপস্থিত আরেক ক্রেতা বলেন, ‘এটা তো প্রতারণা’।
 
মগবাজার আগোরার ফ্রিজের ভেতর থেকে বের করা একটি আইসক্রিমে দেখা গেছে, উৎপাদন বা মেয়াদোত্তীর্ণের কোনো তারিখ নেই।
 
আবার এখানে অনেক আমদানি করা পণ্য আছে, কিন্তু নেই বিএসটিআই’র সিল।
 
মগবাজার কাজী অফিস রোডের বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন জানান, বাইরের চেয়ে পণ্যের দাম বেশি –এটাই শুধু পার্থক্য। এছাড়া আর কোনো সুবিধা নেই এখানে।
 
মাছ দেখিয়ে তিনি বলেন, তাদের সাজিয়ে রাখা মাছ দেখে মনে হয় না, এগুলো ফ্রেশ হবে। দু’একদিনের পুরনো হতে পারে। কিন্তু অনেক দিনের পুরনো হলে তো ক্রেতাদের ঠকাচ্ছে আগোরা।
 
এখানে গরুর মাংসও ফ্রিজিং করে বিক্রি করা হচ্ছে। আউটলেটটির সেলসম্যানও বলেন, এটা গতকালের মাংস। ফ্রেশ মাংস নিতে হলে অপেক্ষা করতে হবে।
 
আউটলেটের চেকিং কাউন্টারে কর্মরত তৃণা বলেন, ‘সরকারের নিয়ম মেনে কি বেচাকেনা করা যায়? নিয়ম নিয়মের মতোই থাকবে। ক্রেতাতো আসছেন বার বার। প্রতি মাসে ২ কোটির টাকার পণ্য বিক্রি করছি’।

বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৬
এসএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।