খুলনা: বন্যা ও টানা বর্ষণে মৌসুমী ফলনের ক্ষতি ও সরবরাহ কম থাকায় খুলনার বাজারে শাক সবজি ও মাছের দাম বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে অনেক শাক সবজির দাম বেড়েছে ১ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) সকালে খুলনার বিভিন্ন কাঁচাবাজার ও মাছের বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীরা বাংলানিউজকে জানান, বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে খুলনার বাজারগুলোতে আবারও সবজির দাম চড়া। করলা, পেঁপে, আলু, আমড়া, ঢেঁড়স, লাল শাক, লাউ শাক, পালং শাক, মিষ্টি কুমড়াসহ প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজি প্রতি ১ থেকে ১০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে।
শামসুর রহমান রোডের সকালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি করলা ২৪ টাকা ছিল যা বর্তমানে ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ছিল ২৪ টাকা এখন ২৬ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া শাক গত সপ্তাহে ৩০ টাকা বর্তমানে ৪০ টাকা, লাউ শাক ছিল ২৫ টাকা এখন ৩০ টাকা, লাল শাক ছিল ২০ টাকা এখন ২৫ টাকা, পালং শাক ২৫ থেকে বেড়ে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি হালি লেবু ১৫ থেকে ২০ এবং কাঁচ কলা হালি ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
মাছের বাজারে সরবরাহ প্রচুর হলেও সপ্তাহের ব্যবধানে কয়েকটি মাছের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে ইলিশ, দেশি কই, বেলে মাছ, টাকি মাছের দাম চড়া। গত সপ্তাহে যে ৮০০ গ্রাম ইলিশ ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে তা এখন ১ হাজার টাকা। দেশি কই ছোট গত সপ্তাহে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে এখন ২০০ টাকা। বড়টা ছিল ৩৫০ টাকা এখন ৪০০ টাকা। বেলে মাছ ছিল ৩৫০ এখন ৪০০ টাকা। এছাড়া অনেকটা অপবর্তিন থেকে আকার ভেদে প্রতি কেজি পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, মৃগেল ২০০ থেকে ২২০ টাকা, বাটা ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা, চাষের কৈ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, টেংরা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, শিং মাছ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, রুই ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, কাতল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, মাঝারি তেলাপিয়া ১৫০ টাকা।
ক্রেতা এম রহমান বলেন, বন্যা, বর্ষা শেষ। তবুও ব্যবসায়ীরা এর অজুহাত দিয়ে দাম বাড়াচ্ছেন।
সবজি বিক্রেতা মোস্তফা জানান, বিভিন্ন জেলায় বন্যা ও খুলনাঞ্চলের টানা বর্ষণের ফলে সবজি উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে কারণে সরবরাহ কমে গেছে। তাই কিছুটা দাম বেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৬
এমআরএম/আইএ