ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজার দর

পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৬
পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা!

ঢাকা: রাজধানীর খুচরা বাজারে সবজির দাম স্বাভাবিক থাকলেও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পেঁয়াজ, আদা, রসুনের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে কিছু ব্যবসায়ী।

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) এমন অভিযোগ জানান অধিকাংশ ক্রেতারা।



রাজধানীর কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এ সপ্তাহে কাঁচাপণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়া মাছ মাংসের দামও গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে। তবে কোনো দোকানে পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৪৫ টাকা আবার কোনো দোকানে ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে ১৫ দিন থেকে ভোজ্য তেলের দাম কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে অনেক ক্রেতার অভিযোগ, কেজি প্রতি আরো দুই টাকা করে বেশি নিচ্ছেন দোকানিরা। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেন বিক্রেতারা।

তারা জানান, আমরা ৯৫ টাকার বেশি নিচ্ছি না, তবে দুই একদিনের মধ্যে কেজিতে তিন টাকা বাড়বে।

রাজধানীর স্থানীয় বাজারগুলোতে গত সপ্তাহে সবজির যা দাম ছিলো এ সপ্তাহে ওই দামে বিক্রি হচ্ছে। ঢেঁড়স, মুলা, ঝিঙা, চিচিংগা, বরবটি, পটল ও টমেটো বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকায়।

বেগুনের দাম কমে ৪০-৫০ টাকা প্রতিকেজি, কচুরমুখী ৩০ টাকা, ধনেপাতা ১২০ টাকা, কাঁচামরিচ ১শ’ টাকা, করলা ৪০, পেঁপে ৩০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, কাঁচাকলা ৩০ টাকা (হালি), লেবু ২০ টাকা (হালি), মিষ্টি কুমারা ৩০ টাকা (পিস), লাউ ৩০ টাকা, প্রতিকেজি আলু ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বাজারে নতুন শিম পাওয়া যাচ্ছে কেজি প্রতি ৮০ টাকা করে। লাল শাকের আঁটি ১৫ টাকা, পুঁই শাক ১৫ টাকা, লাউ শাক ২০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে।

মোহাম্মাদপুর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা সেলিম বাংলানিউজকে জানান, গত সপ্তাহে সবজির দাম যা ছিলো- তাই আছে।
একই কথা জানান মিরপুরের সেনপাড়া কাঁচাবাজারে আসা ক্রেতা মোহাম্মাদ জসিম। তিনি বলেন, তেলের দাম বেড়েছে। পেঁয়াজ, আদা, রসুনের দামও বেশি। প্রতি বছরই কোরবানির ঈদকে এলে এসব পণ্যের দাম বাড়ায় বিক্রেতারা।

ওই বাজারের মুদি দোকানি মুজিব বলেন, ‘ঈদ যতো এগিয় আসবে, পেঁয়াজের দাম-মসল্লার দাম তত বাড়বে’।

এ সপ্তাহেও মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। লেয়ার ১৮০ টাকা। আকারভেদে দেশি মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা পর্যন্ত। পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ২২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা।
এ সপ্তাহে গরুর মাংস ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সব ধরনের ডালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। পেঁয়াজ (দেশি) ৪৫-৫০ টাকা, পেঁয়াজ (আমদানি) ৩৫ টাকা। রসুন প্রতিকেজি ১২০ টাকা।

প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৩-৭৫ টাকা। মসুর ডাল (দেশি) মানভেদে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, আমদানি মানভেদে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা। মুগ ডাল (মানভেদে) ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চালের দাম প্রতিটি বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে।

এদিন মাছের প্রচুর আমদানি দেখা গেছে। দামও স্থিতিশীল ছিলো জানান ক্রেতারা।
রুই মাছ (ছোট) ২২০ টাকা, রুই (বড়) ৩২০ টাকা কেজি। ছোট কাতলা ২২০-২৮০ টাকা। চিংড়ি (ছোট) ৪০০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া ১৯০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৬
এমসি/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।