ঢাকা: বাগেরহাটের মংলায় অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় প্রধান সমুদ্র বন্দরের (মংলা বন্দর) দু’টি অসম্পূর্ণ জেটির (৩ ও ৪ নম্বর) উন্নয়ন ও পরিচালনার কাজ পেয়েছে বেসরকারি কোম্পানি পাওয়ারপ্যাক পোর্টস লিমিটেড।
পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পাওয়ারপ্যাক পোর্টস প্রকল্পটির অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করবে এবং জেটি দু’টি পরিচালনা করবে।
রোববার (২১ আগস্ট) রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ এবং পাওয়ারপ্যাক পোর্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক সিকদার চুক্তিপত্রে সই করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, নৌপরিবহন সচিব অশোক মাধব রায় এবং মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) প্রকৌশলী মো. আলতাফ হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি অনুযায়ী, অসম্পূর্ণ জেটি দু’টির নির্মাণ শেষে ৩০ বছর পর্যন্ত পরিচালনা করবে কোম্পানিটি। জেটির কমার্শিয়াল অপারেশন শুরু হবে কাজ শুরুর দিন থেকে দুই বছর পরে। পাওয়ারপ্যাক পোর্টস লিমিটেড তাদের লভ্যাংশ মংলা বন্দরের সঙ্গে ভাগ করে নেবে।
প্রথম পাঁচ বছরে জেটিতে আসা জাহাজের শেয়ারিং মংলা বন্দর পাবে ৬০ দশমিক ৮ ভাগ। যা পরর্বতী ৫ বছরে বেড়ে দাঁড়াবে ৭০ দশমিক ৬ ভাগ। এরপরের ১৮ বছরে যা হবে যথাক্রমে ৭৫ দশমিক ৫ ভাগ। এর পাশাপাশি কামার্শিয়াল অপারেশনের প্রথম বছরে পাওয়ার প্যাক কোম্পানি মংলা বন্দরকে দুই লাখ মার্কিন ডলার পরিশোধ করবে, যা পরর্বতী বছরগুলোতে আগের বছরের তুলনায় ২ শতাংশ হারে বাড়তে থাকবে।
চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পটির বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ দশমিক ৭৫ মলিয়িন মার্কিন ডলার।
অনুষ্ঠানে নৌ পরিবহন মন্ত্রী বলেন, মংলা বন্দরের উন্নয়নে সরকার খুবই আন্তরিক। যে কারণে সরকারের একক প্রচেষ্টায় একটি লোকসানি বন্দরকে লাভজনক বন্দরে পরিণত করা সম্ভব হয়েছে। ২০০৪-০৫ অর্থ বছরে মংলা বন্দরের লোকসানের পরিমাণ ছিলো ১১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। ২০১৬ সালে বন্দরের লাভ হয়েছে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা।
বর্তমান সরকার ২০০৮-১৬ সাল র্পযন্ত এ বন্দররে উন্নয়নে ৩১০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাতটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। বর্তমানে আরো ৬৬৬ কোটি টাকার তিনটি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এছাড়াও ২ হাজার ৯২৫ কোটি টাকার কয়েকটি প্রকল্প অনুমোদনাধীন রয়েছে। যা বাস্তবায়তি হলে মংলা বন্দরের বার্ষিক কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং ক্যাপাসিটি বেড়ে দাঁড়াবে ১০ লাখ (টিইইউজ)।
এ বন্দরে বর্তমানে পাঁচটি জেটি চালু রয়েছে। তিন ও চার নম্বর জেটি চালু করা হচ্ছে পিপিপি’র মাধ্যমে। পর্যায়ক্রমে আরো চারটি জেটি বাস্তবায়ন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৬/আপডেট: ১৮৫৮ ঘণ্টা.
আরএম/এটি