ঢাকা: ভারতে ৮১ লাখ টাকার বৈদেশিক মুদ্রা পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের বেনাপোল সার্কেলের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা উম্মে ছালমা সুলতানা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় মুদ্রা পাচারের সঙ্গে জড়িত মোহাম্মদ ফরিদ হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর তদন্ত করবে।
মুদ্রা পাচারকারী মোহাম্মদ ফরিদ হোসেনকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করায় বেনাপোলের রাজস্ব কর্মকর্তা উত্তম সমাদ্দারকে বরখাস্ত করেছে এনবিআর।
মঙ্গলবার রাতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৫ জুলাই সকাল ৭টায় ভারত থেকে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের মাধ্যমে মুদ্রা পাচার হবে, গোপন সংবাদ পাওয়া যায়। পরে সন্দেহ হলে এক যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি ও তার পাসপোর্ট যাচাই করা হয়। পাসপোর্ট অনুযায়ী ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ ফরিদ হোসাইন।
ফরিদ ঢাকার কাহুরনাগারহাটি নবাবগঞ্জ’র মোহাম্মদ রজ্জব আলীর ছেলে। পরে তার ব্যাগ তল্লাশি করে বিশেষ কায়দায় রাখা ৮২ লাখ ৩৬ হাজার বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়।
কিন্তু বেনাপোল চেকপোস্টের রাজস্ব কর্মকর্তা উত্তম সমাদ্দারের হাত থেকে আসামি পালিয়ে যান। পরে দায়িত্বে অবহেলার জন্য তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
একইসঙ্গে বোনাপোল কাস্টমসের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে গাফিলতি খতিয়ে দেখার জন্য দুটো পৃথক কমিটি গঠন করা হয়। আসামি পালিয়ে গেলেও পাসপোর্ট ফেলে যান।
এনবিআরের অনুমতিতে আসামি মোহাম্মদ ফরিদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলাটি করলো। মামলা নম্বর ৪২। এখন আসামিকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে শুল্ক গোয়েন্দা গত জুন মাসে মতিঝিল থানায় এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ভুয়া পোশাক রপ্তানির কাগজ দেখিয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকা পাচার করে। এতে ২৯৭টি কন্টেইনার পোশাক রফতানি দেখানো হয়। শুল্ক গোয়েন্দা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৬
আরইউ/পিসি