ঢাকা: জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে জ্বালানি ও আলো, প্রসাধনি, জুতা, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়ি ভাড়া, আসবাব পত্র, গৃহস্থলী, অাসবাব পত্র, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন,শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবা খাতের মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধমূখী হয়েছে।
এখাতে জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ, আগস্টে বেড়ে হয়েছে ৭ শতাংশ।
মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনে কক্ষে মিট দ্য প্রেসে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া মে মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য তুলে প্রকাশ করা হয়। পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই তথ্য প্রকাশ করেন।
খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। জুলাই মাসে ছিল ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ, আগস্ট মাসে কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ।
বিবিএস এর হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, ডাল, চিনি, মুড়ি, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, শাক-সবজি, ফল, মসলা, তামাক, দুধজাতীয় দ্রব্যাদি এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর মূল্য জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে কমেছে।
মাসওয়ারী সাধারণ মূল্যস্ফীতির হারও কমেছে। জুলাই মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ, আগস্টে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, গত ১০ বছরের মধ্যে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার সর্বনিম্ন। আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে কাজ করছি। আমরা বাজেটে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি তা, পূরণ করবো। একদিকে মূল্যস্ফীতি কমবে অন্যদিকে প্রবৃদ্ধি বাড়বে। ’
গ্রামীণ পর্যায়েও মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে গ্রামীণ পর্যায়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে শতকরা ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ, যা জুলাই মাসে ছিল ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ। শহরে বেড়েছে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার। শহর পর্যায়ে, পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ, যা জুলাই মাসে ছিল ৭ শতাংশ।
তবে মজুরি সূচক কমে যাওয়ায় চাপে পড়বে খেটে খাওয়া মানুষেরা। জুলাই মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে সাধারণ মজুরি সূচকের হার ছিল ৬ দশমিক ১৩ শতাংশ, আগস্টে কমে হয়েছে ৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। সাধারণ মানুষের আয় কমলে কমে যাবে ক্রয় ক্ষমতাও।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর