ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চট্টগ্রাম শহর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৬
চট্টগ্রাম শহর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

ঢাকা: শহর থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের লক্ষ্যে প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) নগরীর শেরে-বাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সংশ্লিষ্টদের একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশ দেন।

এছাড়া সড়কের পাশে শিল্পনগরী না করারও নির্দেশ দিয়েছেন।
 
একনেক সভায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম শহর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের লক্ষ্যে আপনারা প্রকল্প নিয়ে আসেন। আমাদের অর্থ সংস্থানের কোনো সমস্যা নেই।  সৌদি আরব, চীন, ইংল্যান্ডসহ অনেক দেশ এসব কাজে অংশীদার হতে চায়।  
  
২০৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম নগরীর সিরাজউদ্দৌলা রোড থেকে শাহ আমানত ব্রিজ সংযোগ সড়ক পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ (বাকলিয়া এক্সেস) প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
 
সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, চট্টগ্রাম শহরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প গ্রহণ করতে বলেছেন। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের ভিত্তিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। যারা বিনিয়োগ করবেন ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে টোলের মাধ্যমে টাকা তুলে নেবেন, এতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।
 
একনেক সভায় বন্যা পরিস্থিতির বিষয়টি উঠে আসে। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সময়ে ঘরবাড়ি নির্মাণসহ পুনর্বাসন করতে হবে। আগামীতে যাতে করে বন্যা দুর্গতদের সহায়তা করা যায় সে লক্ষ্যে আপদকালীন অর্থ হাতে রাখতে হবে।
 
বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাশে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল থেকে রংপুরের বুড়িমারী পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার সড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প ছাড়া আরও ৬টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকা ও রংপুর আবহাওয়া রাডারের উন্নয়ন প্রকল্প, ২২৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে উদ্ভাবন এবং উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প, ২১৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বিসিক বৈদ্যুতিক পণ্য উৎপাদন ও হালকা প্রকৌশল শিল্পনগরী প্রকল্প, ৭৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে রাউজান শিল্পনগরী প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। ৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনা জেলার জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে ভদ্রা ও সালথা নদী পুনঃখনন প্রকল্পও সভায় অনুমোদন পায়।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন কিছুটা বেড়েছে। এসময়ে এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে ৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল মাত্র ৩ শতাংশ।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৬
এমআইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।