ঢাকা: বছর ঘুরে আবারও এলো কোরবানির ঈদুল আজহা। কোরবানির পশু কেনা-কাটা অনেকটাই শেষ।
লাখ লাখ কোরবানির পশুর চামড়ার পাশাপাশি এসব উপাদানও অর্থকারী সম্পদ, তাই এসব উপাদান যত্ন সহকারে সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ড. এসএম নজরুল ইসলাম।
এতে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশও দূষিত রোধ হবে।
ড. নজরুল ইসলাম বলেন, কোরবানির পর চামড়াটাই প্রধান জাতীয় সম্পদ। তাই গুরুত্ব দিয়ে চামড়া ছাড়াতে হবে। তাড়াহুড়ো করা যাবে না। চামড়া কেটে গেলে দাম কমে যাবে।
এবার ঢাকায় কোরবানির গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট সর্বোচ্চ ৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ টাকা। আর সারাদেশে খাসি ২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৫ টাকায় কিনবে ব্যবসায়ীরা।
কোরবানির চামড়া তাড়াতাড়ি বিক্রি করাই ভালো জানিয়ে জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর বলেন, বিক্রি না করলে চামড়া বিছিয়ে দুই ইঞ্চি পুরুত্বে লবণ দিয়ে রাখতে হবে। তাহলে পানি শুষে নেবে লবণ।
কোরবানির পশুর রক্ত নিয়ে অনেকেই ঝামেলায় থাকেন। রক্ত শুকিয়ে বিক্রি করা যেতে পারে। পোলট্রি ফিডসহ মাছের খাবার এবং এমন নানা কাজে ব্যবহার করা যায় রক্ত, বলেন ড. নজরুল।
এই প্রাণি বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, পশুর শিং ও হাড় ফেলে দেওয়া উচিৎ না। প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রি করলে লাভবান হওয়া যাবে। কোরবানির সময় সবারই পছন্দ মোটাসোটা বড় গরু বা অন্য পশু। বিশেষ করে গরু বা খাসির চর্বির গুরুত্ব অনেক। মাংসের অতিরিক্ত চর্বি নিয়েও অনেকে ঝামেলায় থাকেন। চর্বি পরিমিত খাওয়া যেতে পারে। তবে অনেকেই আলাদা করে ফেলে দেন, এটা ঠিক না। উত্তাপ দেওয়ার পর মাংসের উপরে জমে থাকা চর্বি বিক্রি করা যেতে পারে। কোরবানির পর বাসা বাড়ি থেকেই অনেকেই চর্বি কিনে নেন।
আমাদের দেশের বাজারে যে শতভাগ হালাল সাবান উৎপাদন করা হয়, তার উৎস আমাদের গরু এবং খাসির চর্বি। এজন্য চর্বিকেও গুরুত্ব দিতেই হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৬
এটি