ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রাজস্ব ফাঁকিতে জিরো টলারেন্স দেখানোর নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৬
রাজস্ব ফাঁকিতে জিরো টলারেন্স দেখানোর নির্দেশ

ঢাকা: রাজস্ব ফাঁকিতে জিরো টলারেন্স দেখানো ও পদক্ষেপ নিতে শুল্ক ও মূসক কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।
 
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) এনবিআর সম্মেলন কক্ষে চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বিষয়ে শুল্ক ও ভ্যাট বিভাগের মাসিক রাজস্ব সম্মেলনে তিনি এ নির্দেশ দেন।


 
রাষ্ট্রের রাজস্ব ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে রাজস্ব ফাঁকি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য শুল্ক ও মূসক কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
 
সভায় রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কর্মকৌশল ও অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা শেষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ১০টি সিদ্ধান্ত হয়।
 
সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে, মাঠ পর্যায়ে শুল্ক ও মূসক আহরণ কার্যক্রমে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা মোকাবেলায় এনবিআর প্রণীত কৌশলপত্র অনুযায়ী কাজ করা।
 
আগামী অর্থবছর নতুন মূসক আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অংশীজন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়, আলোচনা সভা, কর্মশালার আয়োজন করা।
 
মাসিক রাজস্ব সম্মেলনের আগে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রস্তুতিমূলক সভা করা। যেখানে শুল্ক ও মূসক আদায়, এডিআর ও কেস স্টাডি প্রতিবেদনের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা।  
 
কাস্টমস হাউস ও শুল্ক স্টেশনে পণ্য খালাসে হয়রানি, সময়ক্ষেপণ, ভোগান্তি নিরসনে আরো সচেতনভাবে কাজ করা ও আমদানি-রফতানি কাজ আরো গতিশীল করা।
 
এডিআরকে অধিকতর কার্যকর করতে বছরের শুরুতেই প্রতিটি কমিশনারেটে এডিআর এর মাধ্যমে সম্ভাব্য নিষ্পত্তিযোগ্য মামলাসমূহের একটি তালিকা প্রণয়ন করা।
 
অনিষ্পন্ন মামলাসমূহ ডিজিটাল পদ্ধতিতে দ্রুত নিষ্পত্তিতে করদাতা ও কর্মকর্তাদের মধ্যে সহযোগিতামূলক সু-সম্পর্ক ও আস্থার পরিবেশ তৈরি করা।
 
রাজস্ব ফাঁকি রোধে ‘জিরো টলারেন্স’ ও দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন, নীতি কঠোরভাবে প্রতিপালন, অভিযান আরো ফলাফল ভিত্তিক ও সক্রিয় করা।
 
রাজস্ব ফাঁকিবাজ অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোরতর ব্যবস্থা নেয়া। সিআইসি, শুল্ক ‍ও মূসক গোয়েন্দা ও সরকারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা।
 
চেয়ারম্যান বলেন, চলতি অর্থবছরের আগস্ট পর্যন্ত রাজস্ব সংগ্রহের প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি।
 
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পরিচালিত কার্যক্রম পর্যবেক্ষণপূর্বক রাজস্ব সংগ্রহের ধারাবাহিকতা ও গতিশীলতা বজায় রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
 
চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব ফাঁকি রোধে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। রাজস্ব সংগ্রহের কাজে মনোনিবেশ, রাজস্ব ও করদাতাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
 
সম্মেলনে চেয়ারম্যান জাতিসংঘের অধিবেশনে আর্ন্তজাতিক সন্ত্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন, এসডিজির অর্থায়ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৬
আরইউ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।