ঢাকা: নন পারফরমিং ঋণ আদায় রূপালী ব্যাংকের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। ব্যাংকের উন্নয়ন করতে হলে নন পারফরমিং ঋণ আদায় করতেই হবে।
তবে এজন্য ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকদের জেনারেলের ভূমিকা পালন করতে হবে। সবাই একযোগে কাজ করলে এ বছরের মধ্যেই নন পারফরমিং ঋণকে সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে নিয়ে আসা যাবে।
রোববার (০২ অক্টোবর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে রূপালী ব্যাংকের ঢাকা বিভাগীয় উত্তর কার্যালয়ের মিলনায়তনে ঢাকা দক্ষিণ বিভাগের শাখা ব্যবস্থাপক ব্যবসায়িক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে শহরের পাশাপাশি গ্রাম-গঞ্জকেও প্রাধান্য দিতে হবে। গ্রামের ছোট ছোট শাখাকে শহরের শাখার সঙ্গে আনুপাতিক হারে ঋণ বিতরণ করতে হবে। ঋণকে কেন্দ্রীভূত করা যাবে না।
ব্যাংকের কথা তুলে ধরে আতাউর রহমান প্রধান বলেন, ব্যাংকের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে আপনাদের জানতে হবে। কোনোভাবেই ভুল তথ্য দেওয়া যাবে না। প্রভিশন ঘাটতি রেখে প্রফিট দেখানো যাবে না। এটি যারা করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শাখা ব্যবস্থাপকদের উদ্দেশ্যে রূপালী ব্যাংকের সিইও বলেন, প্রমোশনের ক্ষেত্রে শাখা ব্যবস্থাপকদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। তবে শাখা ব্যবস্থাপকরা যদি শ্রেণিকৃত ঋণ ও রাইট-অফ থেকে আদায় করতে না পারেন, ব্যবসা না বাড়াতে পারেন, তাহলে প্রমোশনের ক্ষেত্রে তাদের নেগেটিভ মার্কিং করা হবে।
অনিয়ম রোধের বিষয়ে বলেন, নিয়মের মধ্যে থেকেই গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান করতে হবে। কোনোভাবেই অনিয়ম করা যাবে না। কেউ যদি অনিয়ম করেন তার দায়-দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রূপালী ব্যাংকের ভবিষ্যতের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, রূপালী ব্যাংকের উন্নয়ন কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য ব্যাংকের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিস্ট সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এগিয়ে আসতে হবে। অমাদের সবার সম্মেলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই রূপালী ব্যাংকটিকে একটি মর্যাদাকর অবস্থানে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৬
এসই/জেডএস