ঢাকা: আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে চীনে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করবে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের পাশাপাশি চীনের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে ও ঘাটতি কমিয়ে নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোরও পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
রোববার (০৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্ব: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ তথ্য জানান।
ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) উদ্যোগে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, অর্থনীতিবিদ ড. সাদিক আহমেদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়জুর রহমান, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মোয়াজ্জেম হোসেন, বিএনপি নেতা লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান এবং ইআরএফ সেক্রেটারি জেনারেল জিয়াউর রহমান প্রমুখ অংশ নেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক উচু মাত্রায়। চীনের সঙ্গে ভারত বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের যে সম্পর্কই থাকুক, তাতে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না।
`দুই দেশের মধ্যে রাজনীতি, পথ ও মতের ভিন্নতা থাকতে পারে, তবে অর্থনীতিতে এক হতে পারলে উভয় দেশ লাভবান হবে। ’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা তৈরি করছে। এরই মধ্যে ২০টির কাজ শুরু হয়ে গেছে। একটি অর্থনৈতিক এলাকা চীনকে দেওয়া হবে। বিশ্বব্যাংক, এডিবি, আইডিবির লোনের চেয়ে একটু বেশি হলেও সুদের হার খুব বেশি নয়। ’
বর্তমানে চীনের সঙ্গে ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য রয়েছে জানিয়ে তোফায়েল বলেন, বাণিজ্য ঘাটতি থাকলেও এ নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। অনেক দেশে আমরা পণ্যের কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার পাচ্ছি।
‘তাই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে একটু ধীরে চলো নীতিতে এগোচ্ছি। গত ৩ মাসে চীনের সঙ্গে রফতানি প্রবৃদ্ধি ২৫ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে আমাদের জাতীয় গড় প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৬/আপডেট: ১৭২৭ ঘণ্টা
এসএমএ/এমএ