ঢাকা: একদিকে বাড়ছে জিডিপি (সামষ্টিক অভ্যন্তরীণ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধির হার অন্যদিকে কমছে অতি দারিদ্র্য। বর্তমানে এই হার দেশের মোট জনসংখ্যার ১২ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে।
দারিদ্র্য বিমোচন দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অংশ নেন স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ী রুবানা হক এবং বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পল রোমার ।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন ভারতীয় সাংবাদিক শিরিন ভান। পুরো আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশের দারিদ্র্য জয়ের নানা গল্প ও নেপথ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের নানা পদক্ষেপ।
প্যানেল সংলাপের শেষ মুহূর্তে হঠাৎ করেই উঠে আসেন জিম ইয়ং কিম। এ সময় বাংলাদেশের দারিদ্র্য নিরসনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। দারিদ্র্য জয় উদযাপন করতেই তার বাংলাদেশে আসা সেই বিষয়ে নানা ইঙ্গিত দেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে আরও অনেকে অংশ নেয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তার টিম মেম্বারদের দাঁড়াতে বলেন কিম। এ সময় থমকে যায় পুরো সংলাপ। মঞ্চের সমস্ত অতিথি শুনতে থাকেন কিমের নানা কথা।
বাংলাদেশের রেকর্ড প্রশংসা করে কিম বলেন, কিভাবে দারিদ্র্য জয় করতে হয় বাংলাদেশের কাছে তা শেখার আছে। ক্রমাগত চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও নারীর ক্ষমতায়ন , শাসন ব্যবস্থা ও জলবায়ু সংশ্লিষ্টসহ সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উন্নতি করেছে।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতির প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতে বিশ্বব্যাংক গ্রুপ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে চায়। কারণ বিনিয়োগ করতে ব্যর্থ হলে ভবিষ্যত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ কারণে আমরা শিশুদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাও নিশ্চিত করতে চাই।
কিম বলেন. "তাদের শৈশবের বছরগুলো যেন ভালো মতো অতিবাহিত হয়। তাদের উপার্জনের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসার মন মানসিকতা যেন তৈরি হয়। শিশুদের পরিবারসমূহ যেন দারিদ্র্য মুক্ত থাকে। সেই লক্ষ্যে আমরা বাংলাদেশের পাশে সব সময় থাকবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৬
এমআইএস/আরআই