ঢাকা: বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় তিন বছরের মধ্যে ২০০ কোটি ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।
মঙ্গলবার (অক্টোবর ১৮) সংস্থাটির ঢাকা অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে কিম এই প্রতিশ্রুতি দেন।
কিম বলেন, বাংলাদেশ স্বল্প সময়ে চরম দারিদ্র্য হ্রাস করেছে যা বড় একটি সাফল্য। তিন বছরে ২০০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুত সাহায্য জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় বড় ভূমিকা পালন করবে। জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলা করা গেলে দেশের হতদারিদ্র্য আরও কমে আসবে। কারণ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতদরিদ্র তৈরি করে।
মঙ্গলবার বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নির্মিত ভরসাকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টার পরিদর্শন করেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়াং কিম।
সংবাদ সম্মেলনে এই কথা ব্যক্ত করে কিম বলেন, ঝড়ের সময় স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ঘূর্ণিঝড়ের সময় আশ্রয়কেন্দ্র আরও বেশি মানুষ যেন ব্যবহার করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করারও অঙ্গীকার করেন কিম।
কিম বলেন, বাংলাদেশ সবচেয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ঝুঁকিতে থাকে। দারিদ্র্য জয় করতে হলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে হবে। তবে শক্তিশালী দুর্যোগ-প্রক্রিয়া মোকাবেলায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঝড়, সাইক্লোন, বন্যা’র প্রভাব কমে গেছে। বাংলাদেশে জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংক আরও এগিয়ে আসবে। বাংলাদেশ, আগাম ব্যবস্থা, সাইক্লোন শেল্টার, নানা পরিকল্পনা, উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণ, পুনর্বসন ব্যবস্থা এবং সচেতনতা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে দুর্যোগে মৃত্যু হার কমেছে।
কিম বলেন, আমি এমন একটি সময় বাংলাদেশে এসেছি যখন জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে এদেশের মানুষের জীবন ও জীবিকা বিপন্ন হওয়ার চিত্র দেখছি। যা বাংলাদেশের মানুষের জীবনে নানাভাবে প্রভাবিত করছি। এরপরও উপকূলে সন্তানেরা স্কুলে যাচ্ছে। উন্নত জীবন-যাপনে নানা স্বপ্ন দেখছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি, অবকাঠামো উন্নয়ন, মানব উন্নয়ন করে বাংলাদেশের হতদরিদ্র অবস্থা আরও কমিয়ে আনা সম্ভব।
** ‘দ্রুত এগুচ্ছে বাংলাদেশ, ভবিষ্যৎ সুন্দর’
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৬
এমআইএস/আরআই