ঢাকা: চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন রাজস্ব আয় করেছে ২ হাজার ৯শ ৪০ কোটি টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় ১১ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।
এই প্রান্তিক শেষে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা হয়েছে ৫ কোটি ৫০ লাখ, যা জুন ২০১৬ এর তুলনায় ৩ দশমিক ৩ শতাংশ কম। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে যাচাই প্রক্রিয়া শেষ হবার ফলে সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যার মধ্যে নিবন্ধন বিহীন কোনো গ্রাহক নেই। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই সংখ্যা ০দশমিক ৯ শতাংশ কম। তবে জুলাইয়ের শেষে সিম মার্কেট শেয়ার বেড়ে ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে। গ্রামীণফোনের ডাটা গ্রাহকের সংখ্যা ১১ লাখ বেড়ে প্রান্তিক শেষে ২ কোটি ২৯ লাখে দাঁড়িয়েছে।
গ্রামীণফোনের সিইও রাজীব শেঠি বলেন, ‘আমাদের আয়ের প্রবৃদ্ধির গতিশীল হওয়ায় এ প্রান্তিক খুব ভালো কেটেছে। দৈনিক রাজস্ব প্রদানকারী ভিত্তির উন্নয়ন এবং ব্যবহার বৃদ্ধি এই প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি। ডাটা এবং ভয়েস উভয় ক্ষেত্রেই প্রবৃদ্ধি অব্যাহত ছিলো। ’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন গ্রাহক বৃদ্ধির গতিও বেড়েছে, যা ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ’
আয়কর প্রদানের পর ২০১৬ এর ৩য় প্রান্তিকে ২১ দশমিক ৯ শতাংশ মার্জিনসহ ৬শ ৪০ কোটি টাকা। ২০১৫ এর একই সময়ের তুলনায় ৫৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। উচ্চতর রাজস্ব আয় এবং পরিচালন ব্যয় ব্যবস্থাপনার কারণে এই প্রান্তিকে EBITDA (অন্যান্য আইটেমের আগে) হয়েছে ১ হাজার ৬শ’ ৮০ কোটি টাকা। EBITDA মার্জিন বেড়ে হয়েছে ৫৬ দশমিক ৯ শতাংশ। এই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ দশমিক ৭৮ টাকা।
গ্রামীণফোনের সিএফও দিলীপ পাল বলেন, ‘গ্রামীণফোন এই প্রান্তিকে তার ইতিহাসের সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় করেছে এবং ২ অংকের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আমরা উচ্চতর রাজস্ব প্রবৃদ্ধির এবং নিয়ন্ত্রিত পরিচালন ব্যয়ের মাধ্যমে আমরা এ সফলতা অর্জন করেছি। আমাদের বিশ্বাস ভয়েস এবং ডাটা ব্যবহারে যে প্রবৃদ্ধি আমরা দেখছি তা নেটওয়ার্ক ও বাজারে আমাদের অব্যাহত বিনিয়োগের ফলাফল। ’
গ্রামীণফোন বছরের ৩য় প্রান্তিকে উচ্চ ভয়েস ও ডাটা চাহিদা পূরণে ২জি ও ৩জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে ২শ‘ ২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এছাড়াও দেশের বৃহত্তম করদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন কর, ভ্যাট, শুল্ক এবং লাইসেন্স ফি হিসেবে সরকারি কোষাগারে ১হাজার ৩শ ৮০ কোটি টাকা দিয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানটির মোট রাজস্ব আয়ের ৪৬ দশমিক ৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৬
এমএন/ওএইচ/এমজেএফ