ঢাকা: বাংলাদেশকে সমুদ্র বন্দর ব্যবহারে বিশেষ সুবিধা দিতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। মঙ্গলবার (অক্টোবর ২৫) বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত সচিব পর্যায়ের বৈঠকে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়।
দুই দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত এই সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন নৌপরিবহন সচিব অশোক মাধব রায় এবং শ্রীলঙ্কার পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সে দেশের বন্দর ও নৌ সচিব এল পি জেয়ামপেথি। এর আগে শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধি দল নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে দুপুরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন নৌ পরিবহন সচিব অশোক মাধব রায়। তিনি শ্রীলংকার নৌ সচিবের সঙ্গে বৈঠক সম্পর্কে বলেন, ‘আজই শ্রীলংকার বন্দর ব্যবহার সম্পর্কে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের খসড়া চূড়ান্ত হবে।
দ্বিতীয় ধাপে স্টান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর ( এসওপি) চূড়ান্ত হবে। এতে রুট, জাহাজ সংখ্যা, ট্যারিফ ও বন্দর চূড়ান্ত হবে। তৃতীয় দফায় দুই দেশের সরকার প্রধান চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করবেন।
সচিব বলেন, এর ফলে চূড়ান্ত লাভ তুলবে বাংলাদেশ । বহির্বিশ্বে বাণিজ্যে বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানি সহজ হবে এবং পণ্য রপ্তানির সময় ও ব্যয় কমবে। অন্যদিকে শ্রীলংকার সঙ্গে বাংলাদেশেরর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়বে।
বৈঠকের আগে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, দুই দেশের মধ্যে কোস্টাল শিপিং চলাচল চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া দুই দেশের রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী জাহাজ দুই দেশের বন্দরে বিশেষ সুবিধা পাবে। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার বন্দরে বাংলাদেশি জাহাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বার্থিং ট্যারিফ কনসেশন পাবে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও কলম্বো বন্দরের মধ্যে ফিডার সার্ভিস চালু, সমুদ্রগামী জাহাজের লিজ ও ক্রয়, উভয় দেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতের স্টেক হোল্ডারদের মধ্যে মতবিনিময়, শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশি নাবিকদের চাকরি ও প্রশিক্ষণ, ভিসা সহজীকরণসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হবে।
শাজাহান খান আরও বলেন, সিঙ্গাপুর বন্দর হয়ে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সময় ও অর্থ বেশি ব্যয় হয় সেই ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার বন্দর ব্যবহার করলে আমাদের সময় এবং অর্থ অপচয় কমানো যাবে। শ্রীলঙ্কা তাদের বন্দর ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশকে এসব সুযোগ সুবিধা দেবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রফিকুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুনীর চৌধুরী, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের এমডি কমোডর এম হাবিবুর রহমান ভুইয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ( দক্ষিণ এশিয়া) মনোয়ার হোসেন সহ দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬/আপডেট ১৩১৮
আরএম/আরআই