দিনাজপুর: দিনাজপুরে পাইকারি চালের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে জেলার বিভিন্ন বাজারে প্রায় সব ধরনের চালের দাম প্রতি কেজিতে আট থেকে নয় টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
তবে অন্যান্য চালের তুলনায় মোটা চালের দাম বেশি বেড়েছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিল মালিকরা চাল মজুদ করে রাখায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। ফলে দিন দিন বাড়ছে চালের দাম।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দিনাজপুর শহরের বাহাদুর বাজারে খুচরা ও পাইকারি কিছু দোকান ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়।
ওই বাজারে এক মাস আগে মোটা চাল (গুটি স্বর্ণ) কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ২৬ থেকে ২৭ টাকা, বর্তমানে ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা; স্বর্ণ চাল ছিল ৩০ থেকে ৩১ টাকা, বর্তমানে ৩৭ থেকে ৩৮ টাকা; মিনিকেট ছিল ৩৭ থেকে ৪০ টাকা, বর্তমানে ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা।
এছাড়া বিআর-২৮ জাতের চাল ছিল ৩০ থেকে ৩২ টাকা, বর্তমানে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাহাদুর বাজারে চাল কিনতে আসা দিনমজুর মোছাদ্দেক বাংলানিউজকে জানান, প্রতিদিনের চাল প্রতিদিন কিনতে হয়। এক মাস আগে মোটা চাল কিনেছেন ২৭ টাকা দরে, এখন একই চাল কিনতে হচ্ছে ৩৫ টাকা দরে। হঠাৎ করে দাম এতো বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের মতো মানুষেরা পড়েছেন অথৈ জলে।
বাজারের খুচরা ও পাইকারি চাল ব্যবসায়ী মাসুদ জানান, সরকার স্বল্প দামে চাল সংগ্রহ করায় ও মিলারদের মজুদের কারণে দাম এভাবে বাড়ছে।
দিনাজপুর চালকল মালিক সমিতির সদস্য আসলাম হোসেন জানান, চাল মজুদ বা সিন্ডিকেট করা হচ্ছে একথাটা ঠিক নয়। মূল্যস্ফীতির কারণেই চালের
দাম বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৬
এজি/এসআর