ঢাকা: বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালক নিয়োগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন চায় না বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)।
রোববার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে ‘বেসরকারি ব্যাংকের অমীমাংসিত সমস্যা’ শীর্ষক লিখিতে আবেদনে এ দাবি করেছেন সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম মজুমদার।
বর্তমানে ব্যাংক কোম্পানি আইনের (১৯৯১, (সংশোধিত ২০১৩) ধারা ১৫ এর ৪ এ বলা আছে, ‘বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্য (পরিচালক) নিয়োগ করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে’।
এক্ষেত্রে পরিচালকদের বাদ দিয়ে শুধু এমডি নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নেওয়ার আবেদন করেছে সংগঠনটি।
এছাড়াও ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১৫ (ক) ধারা মোতাবেক ব্যাংকের পরিচালকরা পর পর দুই মেয়াদে ছয় বছরের বেশি পরিচালক পদে থাকতে পারছেন না।
উদ্যোক্তা পরিচালকদের ক্ষেত্রে এ বিধানের পরিবর্তে পরিচালক পদে থাকার জন্য একটি যৌক্তিক সময় দেওয়ার দাবি বিএবি’র।
ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১৪ এর ক ধারায় বলা হয়েছে, ‘পরিচালনা পর্ষদে একই পরিবারের দুই সদস্যের বেশি সদস্য থাকতে পারবেন না’।
বিএবি’র আবেদনে বলা হয়েছে, ‘একই পরিবারের সদস্যরা আলাদা ভাবে থাকছেন, ব্যবসা করছেন, আয়কর দিচ্ছেন। তাদেরকে পরিচালক থাকার সুযোগ দেওয়া হোক’।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘ব্যাংকের সকল আয়ের জন্য আয়কর দেওয়া হচ্ছে। লোন ও অ্যাডভান্সের জন্য ব্যাংকগুলোর রাখা প্রভিশনের (সঞ্চিতি) কর মওকুফ করা হোক’। ব্যাংকের শেয়ার হস্তান্তরের সময় যে অর্থ জাকাত ও সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে প্রদান করা হয়, সে অর্থের কর মওকুফের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
এছাড়া ব্যাংকের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, গবেষণা, ব্যাংকিং খাতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করতে গুলশান এলাকায় একটি প্লট বরাদ্দ চেয়েছেন বিএবি’র নেতারা।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত দাবিগুলোর বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আর আইনের ব্যাপারতো আছেই। তবে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্ভব নয়।
বৈঠকে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান আনিস এ খান, হাফিজ আহমেদ মজুমদারসহ সংগঠন দু’টির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৬
এসই/ওএইচ/টিআই/এএসআর