ঢাকা: ‘দেশের ইলেক্ট্রনিক্স শিল্পে এখন ওয়ালটন রীতিমতো জায়ান্ট অর্গানাইজেশন। বলতে পারেন মোস্ট প্রেস্টিজিয়াস প্রতিষ্ঠান।
এনিনা যোগ দিচ্ছেন ওয়ালটন গ্রুপের মেডিকেল সেন্টারে। ফার্মাসিস্ট হিসেবে।
এতোদিন কাজ করছিলেন টঙ্গীর একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে। সেখানকার চাইতে উন্নত বেতন, বোনাস, সুযোগ-সুবিধা পেয়ে নতুন কর্মস্থল হিসেবে ওয়ালটনকে বেছে নিচ্ছেন তিনি।
এনিনা কেবল একা নন। তার মতো শতাধিক তরুণ কর্মীকে দেখা গেলো প্রবেশমুখে একটি ফ্লোরে। যেখানে সবাই অপেক্ষায় ছিলেন যোগদানের আনুষ্ঠানিকতায়।
সারিবদ্ধ আর সুশৃঙ্খল ভাবে বসে আছেন হবু কর্মীরা। চোখে মুখে সবার খুশির ঝিলিক। স্থির হয়ে বসে থাকলেও চোখ বলে দেয় মনের উচ্ছ্বাসের কথা।
আর হবে নাই বা কেন, জীবনের দিনপঞ্জিতে সবাই মাইলফলক অতিক্রম করে নতুন পথ চলার ইতিহাস তৈরির দিন।
কর্মকর্তারাও ব্যস্ত। টেবিলের সামনে একের পর এক কর্মী আসছেন। আর হাসিমুখে তাদের বরণ করে আপন করে নিচ্ছেন, হচ্ছেন সহকর্মী।
'এটা তো প্রতিদিনেরই চিত্র, আজ তো কমই। বেলা এখন সাড়ে ১১টা। সকালে এলে দেখতেন, ভিড় কাকে বলে। কোনো কোনো দিন তো দেড় থেকে দুই'শ কর্মী যোগদান করেন এখানে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বাংলানিউজকে এ কথাই বলছিলেন মানবসম্পদ ও প্রশাসন শাখার কর্মী মনিরুজ্জামান সুমন।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে ওয়ালটন গ্রুপে কর্মীর সংখ্যা প্রায় ২৩ হাজার। দিন দিন আমাদের উৎপাদন বাড়ছে, কারখানা সম্প্রসারিত হচ্ছে। বাড়ছে লোকবল। যে কারণে প্রতিদিনই বিভিন্ন শাখায় নতুন নতুন কর্মী নিয়োগ করা হয় এখানে।
ওয়ালটন গ্রুপের অপারেটিভ ডাইরেক্টর উদয় হাকিম বাংলানিউজকে জানান, দেশের পণ্য দেশ ছাড়িয়ে এখন রফতানি হচ্ছে ২০টিরও বেশি দেশে।
২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বের ১০০ দেশে ওয়ালটনের পণ্য পৌঁছে দিতে চাই। যার মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও পরিচয়কে তুলে ধরবে ওয়ালটন। আমাদের লক্ষ্যই হচ্ছে, সর্বোচ্চ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। যে কারণে ওয়ালটন নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা রাখছে- যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৬
জেডআর/এসএইচ