ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চলছে বাণিজ্যমেলার প্রস্তুতি, বাড়ছে অংশ নেয়া দেশের সংখ্যা

রহমত উল্যাহ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
চলছে বাণিজ্যমেলার প্রস্তুতি, বাড়ছে অংশ নেয়া দেশের সংখ্যা ‍ছবি: জি এম মুজিবুর, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মাত্র ক’দিন পরেই শুরু হচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) যৌথ আয়োজনে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা (ডিআইটিএফ) ২০১৭।

ঢাকা: মাত্র ক’দিন পরেই শুরু হচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) যৌথ আয়োজনে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা (ডিআইটিএফ) ২০১৭। এবার মেলায় অংগ্রহণকারীদের দেশের সংখ্যা বাড়ছে।


গত ১ নভেম্বর থেকে মেলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো প্রস্তুতির কাজ হবে। ১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২তম এ আসরের উদ্বোধন করবেন।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র পার হলেই চোখে পড়বে বিশাল কর্মযজ্ঞের প্রস্তুতি। তৈরি হচ্ছে প্যাভেলিয়ান আর স্টল। বেশিরভাগ প্যাভেলিয়ান তৈরি হচ্ছে স্টিল দিয়ে। চোখে পড়বে তিন তলা স্টলও।

অনেক প্রতিষ্ঠানের স্টল প্রায় তৈরি হয়ে গেছে, চলছে সৌন্দয্য বর্ধনের কাজ। ভেতরে বাইরে চলছে রাস্তা নির্মাণ, পানির পাইপ বসানো, লাইট লাগানো আর গেইট নির্মাণের কাজ।

গত বছর বেশ সাড়া পাওয়ার পর এবার দেশীয় কোম্পানিগুলো ক্রেতা আকর্ষণ করতে বাড়াচ্ছে প্যাভেলিয়ান ও স্টলের সংখ্যা। এসব তৈরি করতে নিরাপত্তার কথা মাথায় রাখছে কর্তৃপক্ষ।

এবারের মেলায় প্রাণ ও আরএফএল’র প্যাভেলিয়ান ও স্টল সংখ্যা বেড়েছে। সময়ের আগেই সব প্যাভেলিয়ান, স্টলের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সিনিয়র মার্কেটিং অফিসার একেএম ইকবাল।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, প্রতি বছরের মতো এবারও মেলায় আকতার, ব্রাদার্সসহ বেশ কয়েকটি ফার্নিচার কোম্পানি দৃষ্টিনন্দন প্যাভেলিয়ান করছে। স্টিলের তৈরি এসব প্যাভেলিয়ানের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
ছবি: জি এম মুজিবুর ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করতে মেলায় ১৫ হাজার বর্গফুটের তিনতলার দৃষ্টিনন্দন প্যাভেলিয়ান করছে দেশীয় কোম্পানি ওয়ালটন। থাকছে লিফটসহ নানান সুবিধা। কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এছাড়া কয়েকটি কোম্পানির দৃষ্টিনন্দন প্যাভেলিয়ানের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, গত বছর মেলায় ২১টি দেশ অংশগ্রহণ করলেও এবার ২৫টি দেশ অংশ নিচ্ছে। এগুলো হলো ভারত, পাকিস্তান, চীন, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, নেপাল, হংকং, জাপান, আরব আমিরাত, মরিশাস, ঘানা, মরক্কো, ভুটান।
সূত্র আরো জানায়, মেলায় এবারও সাধারণ, প্রিমিয়ার, সংরক্ষিত, বিদেশি, সাধারণ মিনি, সংরক্ষিত মিনি, প্রিমিয়ার মিনি, বিদেশি মিনি প্যাভেলিয়ান, সাধারণ ও প্রিমিয়ার স্টল, ফুড স্টল, রেস্তোরাঁসহ ১৩ ক্যাটাগরির স্টল থাকবে। থাকবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন।

থাকবে প্রাথমিক চিকিৎসা, মা ও শিশু কেন্দ্র। বিনোদনের জন্য ফোয়ারা, এটিএম বুথ, ই-পার্ক। স্থাপন করা হচ্ছে ১০০ সিসি ক্যামেরা। এছাড়া থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

কর্তৃপক্ষের কাছে পাওয়া তথ্যমতে ২০১৫ সালে আয়োজিত মেলায় ৫০ কোটি, এবং ২০১৬ সালের মেলায় ১২১ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছিল।

তবে ২০১৫ সালে মেলায় ৯৫ কোটি ও ২০১৬ সালের মেলায় ২৩৫ কোটি ১৭ লাখ টাকার রপ্তানি আদেশ এলেও ২২তম আসরে দ্বিগুণ বিক্রি, রপ্তানি আদেশ আসবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।

মেলার প্রস্তুতি সম্পর্কে মেলা কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, প্রস্তুতি চলছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই সব স্টলের কাজ শেষ করতে আমরা তাগাদা দিয়ে যাচ্ছি। বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। তবে দেশি প্রতিষ্ঠানের সাড়া বেশি।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
আরইউ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।