বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) গ্যাপেক্সপো-২০১৭; ৮ম আন্তর্জাতিক শিল্প মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)।
এছাড়া মেলায় কো-অর্গানাইজার হিসেবে কাজ করছে এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সজিবিশন প্রা. লি. ইন্ডিয়া ও জাকারিয়া ট্রেড অ্যান্ড ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল।
এবার মেলায় দেশি-বিদেশি শিল্প প্রতিষ্ঠান নিয়ে মোট ৮টি হলে ৬০০টি স্টলসহ ৮০০টি বুথ রয়েছে। শিল্প মেলায় ভারত, চীন, পাকিস্তান, তাইওয়ান, জার্মানি, থাইল্যান্ড, জাপান, শ্রীলঙ্কা, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, হংকংসহ মোট ৩০টি দেশ অংশগ্রহণ করেছে।
স্টলগুলোতে মেশিনারিজসহ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্যের মেশিনারিজ, কাঁচামাল এবং গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এবং প্যাকেজিং শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যসহ ইয়ার্ন ও ফেব্রিক্স প্রদর্শিত হচ্ছে। যা চলবে আগামী ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ এগিয়ে চলেছে। আজ আমাদের সবক্ষেত্রে উন্নয়নের বিস্ময়। গার্মেন্টস শিল্প ১২ হাজার মিলিয়ন ডলার রপ্তানি দিয়ে শুরু হয়েছিলো। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে গার্মেন্টসসহ সব সেক্টরে ৬০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্য রয়েছে। যেখানে গার্মেন্টস শিল্পে লক্ষ্য ১৮ বিলিয়ন ডলার।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে মাত্র একশ’ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। এছাড়া ১৯৭২ সালে মাত্র ৩৩৮ মিলিয়ন ডলারে ২৫টি পণ্য রপ্তানি করা হয়েছিলো। সেখানে আজ রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ৩৪ বিলিয়ন ডলার। গত ৮ বছরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ২০ বিলিয়ন ডলার। আজ আমরা খাদ্য রপ্তানি করছি। তাই আমাদেরকে এমনভাবে দাঁড়াতে হবে যেন আমরা কোনো সুবিধা ছাড়াই মাথা উঁচু করে এগিয়ে যেতে পারি।
তিনি আরো বলেন, আমরা ২১ সালে গার্মেন্টস শিল্পে ১৮ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করতে পারবো। এটা কম কথা নয়। ২০০৫ সালে যখন কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হয় তখন অনেকেই গার্মেন্টস সেক্টর নিয়ে অনেক কথা বলেছিলেন। কিন্তু সময় সাপেক্ষে আজ আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া শুল্কমুক্ত সুবিধা নেই তারপরও যুক্তরাষ্ট্র আমাদের প্রধান পণ্য রপ্তানির দেশ।
‘বাঙালি জাতি হিসেবে বীরের জাতি। বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন মর্যাদাশীল। এ কারণে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশ কোথাও কোথাও ঈর্ষার পাত্রও হচ্ছে। আগামী ২০৩০ সালে সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলের দিকেও এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’।
বিজিএপিএমইএ এর সভাপতি মো. আব্দুল কাদের খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর এস কে সুর চৌধুরী, এফবিসিসিআই এর প্রথম সহ-সভাপতি সফিউল আসলাম মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনিন আহমেদ, এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সজিবিশন প্রা. লি. ইন্ডিয়ার পরিচালক নন্দ গোপাল কে’সহ অনেকে।
**কোটা তুলে দেওয়ায় গার্মেন্টস শিল্প আরো বিকশিত হয়েছে
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮,২০১৭
এসকে/এসজে/জেডএস