ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

উপেক্ষিত বিআরটিসি-বিআরটিএ, বরাদ্দ কমলো সেতুতেও

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৭
উপেক্ষিত বিআরটিসি-বিআরটিএ, বরাদ্দ কমলো সেতুতেও বিআরটিসি-বিআরটিএ ও সেতু

ঢাকা: ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ও  সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) উপেক্ষিত সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) ও বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ খাত দু’টির উন্নয়নে এডিপি’তে বরাদ্দ প্রায় শূন্য।

চলতি বছরে এ দু’টি সরকারি সংস্থার কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পও চলমান নেই। কিছু পরিবহন কেনার প্রস্তাবনা রয়েছে, তাও অধরাই।

 

অন্যদিকে আরএডিপিতে বরাদ্দ কম পেয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। এডিপিতে পদ্মাসেতু প্রকল্পসহ তিনটি প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ছিলো ৯ হাজার ২০৭ কোটি টাকা। অথচ আরএডিপিতে বরাদ্দ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা। ফলে এডিপি থেকে আরএডিপিতে ২ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা কমানো হয়েছে।

আরএডিপিতে অতিরিক্ত ৩ হাজার ৫৫১ কোটি ৩১ লাখ টাকা চায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ) ও ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। অথচ জনগুরুত্বপূর্ণ খাত  বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) জন্য কোনো বরাদ্দই চাওয়া হয়নি। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) জন্য বরাদ্দ চাওয়া হলেও তা য‍ৎসামান্য।

২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের আরএডিপিতে সড়ক পরিবহন সাব-সেক্টরের সংস্থাওয়ারী বরাদ্দ চাহিদা এবং ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের এডিপি বরাদ্দের তুলনামূলক বিবরণীতে এমন চিত্র দেখা গেছে। বিআরটিসি খাতকে উপেক্ষা করে চলতি অর্থবছরের আরএডিপি’র এ বরাদ্দ চাহিদা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের এডিপিতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ১১৪টি প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ছিলো ৭ হাজার ৭৯১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সওজে এডিপিতে ১০৯টি প্রকল্পে ৫ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিলো। আরএডিপি’তে বেড়ে হয়েছে ১০ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা।

ডিটিসিএ’র চার প্রকল্পে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিলো, আরএডিপিতে বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৮৮৩ কোটি টাকা।

অন্যদিকে এডিপিতে বিআরটিএ’র একটি প্রকল্পে ১৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিলো। আরএডিপিতে এ সংস্থা থেকে উল্টো ৯ কোটি ৩ হাজার টাকা ফেরত চাওয়া হয়েছে।

এডিপি’তে বিআরটিসি’র জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। তবে আরএডিপিতে নামকাওয়াস্তে মাত্র ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

বিআরটিসি ও বিআরটিএ সূত্র জানায়, এ দু’টি খাতে জনগুরুত্বপূর্ণ তেমন কোনো প্রকল্প নেই। যে কারণে বরাদ্দও রাখা হয়নি।

বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত বরাদ্দ দরকার। কিন্তু কোনো বরাদ্দই দেওয়া হয়নি। যদি কখনো কোনো বড় প্রকল্প হাতে আসে বরাদ্দ পাই, না এলে পাই না। তবে আশা করছি, সামনে আমরা কিছু পরিবহন কিনবো, তখন হয়তো বরাদ্দ পেতে পারি’।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।