ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ক্ষুদ্র ঋণ ও সামাজিক সুরক্ষার পরিধি বাড়াতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৭
 ক্ষুদ্র ঋণ ও সামাজিক সুরক্ষার পরিধি বাড়াতে হবে  ছায়া সংসদের প্রতিযোগীদের সঙ্গে প্রধান অতিথি। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: দারিদ্র বিমোচনে ক্ষুদ্র ঋণ ও সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির পরিধি বাড়াতে হবে বলে মত প্রকাশ করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) এক ছায়া সংসদে ' ক্ষুদ্রঋণ না সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি কোনটা দারিদ্র বিমোচনে বেশী সফলতা লাভ করেছে' শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি এই ছায়া সংসদ আয়োজন করে।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সামনে বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। ক্ষুদ্র ঋণ ও সামাজিক সুরক্ষা দু'টো দিকেরই প্রয়োজন। ক্ষুদ্রঋণের পরিধি বাড়িয়ে মাঝারি আকারে নিতে হবে। একই সঙ্গে এই ঋণ ব্যবহারে দক্ষতাও বাড়াতে হবে। এর জন্য ঋণ গ্রহিতাদের প্রশিক্ষণ দিলে ভালো হয়।

'আর সামাজিক কর্মসূচি বর্তমানে ভাতা নির্ভর হয়ে আছে। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে নিতে হবে। আমরা ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের কথা বলি, কিন্তু বাস্তবে স্থানীয় নেতৃত্ব বেশ দুর্বল। এর জন্য সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে দুর্নীতি অনিয়মের সুযোগ ঘটে। স্থানীয় নেতৃত্ব শক্তিশালী করে এসব দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
 
তিনি আরো বলেন, ক্ষুদ্র ঋণের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে ক্ষুদ্র ঋণের অবদান অস্বীকার করা যাবে না।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠকের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ক্ষুদ্রঋণ এর যাঁতাকলে পড়ে অনেকে সহায় সম্বল হারিয়ে পথে বসেছেন। তবে এ ক্ষেত্রে ঘুরে দাঁড়ানোর চিত্রও রয়েছে। সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছে। এর মধ্যে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, সুস্থ মহিলা ভাতা, কর্মসূচি ল্যাকটেটিং মাদার কর্মসূচি, প্রতিবন্ধী ভাতা, টিআর, কাবিখা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তবে সরকারের এসব কর্মসূচিতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুর্নীতি-অনিয়ম হচ্ছে।

বির্তক প্রতিযোগিতায় সরকারি দল হিসেবে ইস্টার্ন ইউনির্ভাসিটি ও বিরোধী দল হিসেবে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক অংশ নেয়। বির্তক প্রতিযোগিতা শেষে বিরোধী দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৭
এমসি/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।