ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৭
প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ এডিবি’র সংবাদ সম্মেলন। ছবি- জি এম ম‍ুজিবুর

ঢাকা: চলতি অর্থবছর অর্থাৎ আগামী জুন শেষে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।

গত অর্থবছর অর্থাৎ ২০১৬ সালের জুনের তুলনায় এ প্রবৃদ্ধির হার কমে যাবে বলেও জানাচ্ছে সংস্থাটি। ২০১৬ সালের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ১ শতাংশ।

একইসঙ্গে ২০১৮ সালের প্রবৃদ্ধিও অপরিবর্তিত অর্থাৎ ৬ দশমিক ৯ শতাংশ থাকবে বলে মনে করছে এডিবি।

বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁও এডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ হিসাবে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি ও রফতানি কমে যাওয়াসহ কয়েকটি বিষয়কে দায়ী করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে রিপোর্ট উপস্থাপন করেন এডিবি’র প্রিন্সিপাল কান্ট্রি স্পেশালিস্ট জ্যোৎস্না ভার্মা (Jyotsana Varma)। উপস্থিত ছিলেন এডিবি'র ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর চাই লি (Cai Li) এবং বহিঃসম্পর্ক বিভাগের প্রধান গোবিন্দ বাড় (Gobinda Bar)।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০১৭ অর্থবছরে কৃষি ক্ষেত্রে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াবে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০১৮ অর্থবছরে এটি আরও কিছুটা কমে হবে ২ দশমিক ৩ শতাংশ’।

‘শিল্প খাতে ২০১৭ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কমে হবে ১০ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে ২০১৮ অর্থবছরে কিছুটা বেড়ে হবে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ’।

‘অন্যদিকে সেবা খাতে ২০১৭ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৬ শতাংশ ২০১৮ সালে অপরিবর্তিত থাকবে’।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০১৭ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি হবে ৬ দশমিক ১ শতাংশ, যা ২০১৬ অর্থবছরে ছিল ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০১৮ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি হবে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ’।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে বলা হয়েছে উৎপাদনমূখী কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। এছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থার প্রশংসা করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে এশিয়ার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ‘২০১৭ অর্থবছরে এশিয়া মহাদেশে প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৮ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে একই’।

এডিবি’র স্টাফ কনসালট্যান্ট জাহিদ হাসান বলেন, ‘দেশে ৬ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে জিডিপি। অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি দেশের ভেতরেই অভ্যন্তরীণ চাহিদা তৈরি করছে এবং এ চাহিদা টিকে থাকছে। এটি ইতিবাচক’।

‘সারা বিশ্বে গ্লোবাল জিডিপির সঙ্গে গ্লোবাল এক্সপোর্ট কমে আসছে। আগামীতে অনেক দেশকেই নিজেদের অভ্যন্তরীণ চাহিদার ওপর নির্ভর করতে হবে, অভ্যন্তরীণ জিডিপির বৃদ্ধির ওপর। এটি বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক’।  

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সম্ভাবনার জায়গাটি হচ্ছে অভ্যন্তরীণ চাহিদার ওপর নির্ভর করেই জিডিপি বৃদ্ধি সম্ভব’।

অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে কৃষির উৎপাদন কমে যাওয়াটা স্বাভাবিক বলেই মনে করেন তিনি। এখানে প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে বলেও মনে করেন জাহিদ হাসান।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৬
এমএন/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।