ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজেটে থোক বরাদ্দ বাড়ছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৭
বাজেটে থোক বরাদ্দ বাড়ছে প্রাক বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী। ছবি: বাদল

ঢাকা: আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে উল্লেখযোগ্য হারে থোক বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাতে জাতীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের প্রাক বাজেট আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী।

মুহিত বলেন, আমরা জিডিপি বৃদ্ধি করে ৮ শতাংশে নিয়ে যেতে চাই।

আর উচ্চ মাত্রার জিডিপি অর্জনের লক্ষ্যে স্থানীয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন। যেমন লোকাল রাস্তা উন্নয়নসহ সব ধরনের অবকাঠামো উন্নয়ন। আর এ সব উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে আমরা আগামী বাজেটে থোক বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য আলোচনা করেছি।

প্রতি বছর এমপিদের বরাদ্দ দেওয়া টাকা খরচ হয় না উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আজকের আলোচনায় উঠে এসেছে এমপিদের দেওয়া ২০ কোটি টাকা সঠিকভাবে খরচ হয় না। এমপিরা আমাকে বলেছে, স্থানীয় উন্নয়ন কাজে জড়িত ইঞ্জিনিয়ারদের নানা তুচ্ছ অযুহাতের কারণে এই টাকা খরচ হয় না। এ বিষয়েও আগামী বাজেটে দিক নির্দেশনা থাকবে।

তিনি বলেন, ডলার এলোকেশন ও টাকার মান নিয়েও আগামী বাজেটে কাজ করা হবে। এছাড়া ইনসেনটিভ পেমেন্ট যেন প্রতি তিন মাস পর পর দেওয়া হয়ে সে বিষয়েও নির্দেশনা থাকবে।

মাটির নিচে পানির স্তর কমে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে জরিপ করা হবে এবং নলকূপ বসানো নিয়েও নীতিমালা করা হবে কলে জানান অর্থমন্ত্রী।

বাজেটে উত্তরবঙ্গের জন্য ভালো খবর রয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরবঙ্গে গ্যাস পৌঁছে যাবে। ১৮ সালের মধ্যেই পাইপ লাইন ও বিদেশ থেকে আনা এলপিজি গ্যাসের জন্য স্টোরেজ করা হবে।

এমপিও প্রত্যাশীদের জন্য আগামী বাজেটে কোনো সুখবর থাকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি মনে করি এমপিও একটি বাজে সিস্টেম, এতে শিক্ষকরা ছাড়া প্রতিষ্ঠানের কোনো লাভ হয় না। তাই এমপিও নিয়ে আগামী বাজেটে কিছুই থাকছে না।

জেলা পরিষদকে দেওয়া বরাদ্দের টাকা ব্যবহার করা হয় না জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, তারা বছরের শেষ দিক দিয়ে কিছুটা খরচ করে। পড়ে থাকা বাকি টাকা খরচ করে না। এখানে অনেক চুরি-চামারি হয় বলে আমরা জানতে পেরেছি। এ বিষয়টি আমার মন্ত্রণালয় থেকে বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।    
 
আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান, অর্থসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপু মনি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানসহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতিরা।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৭
এমএ/এমআইএইচ/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।