ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

লাকসাম খাদ্য গুদামের ১০ কোটি টাকার খাদ্যশস্য আত্মসাৎ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৪ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৭
লাকসাম খাদ্য গুদামের ১০ কোটি টাকার খাদ্যশস্য আত্মসাৎ লাকসাম খাদ্য গুদাম

কুমিল্লা: কুমিল্লার লাকসামে খাদ্য গুদামে প্রায় ১০ কোটি টাকার ১৮শ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এ অভিযোগের তীর সাবেক গুদাম কর্মকর্তা মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় গত মাসে (১৮ এপ্রিল) লাকসাম থানায় একটি মামলা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ বিষয়টি তদন্ত করছে।

২০১৫ সালের ১২ জুলাই থেকে ২০১৬ সালের ২২ জুন পর্যন্ত ওই কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকালে ১৭টি চালানের বিপরীতে ২৫০.৪৩৭ মেট্রিক টন গম ও ৩৬টি চালানের বিপরীতে ৫৭৪.৩১৩ মেট্রিক টন চাল কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে। তবে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের রেকর্ড অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে পৃথক পৃথক চালানের মাধ্যমে ৮২৪.৭৫০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য এ গুদামে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ওই কর্মকর্তা খাদ্যশস্যগুলো গুদামে মজুদ না করে নিজেই আত্মসাৎ করেছে বলে জানা গেছে।

মহিউদ্দিন ২০১৪ সালের ১১ জানুয়ারি লাকসাম খাদ্য গুদামে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নেন এবং ২০১৬ সালের ৫ অক্টোবর পদোন্নতি পেয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে বদলি হলেও রহস্যজনক কারণে নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে এ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবেই কয়েকদিন থেকে যান। এখান থেকে বদলি হয়ে যাওয়ার পর তার খাদ্য আত্মসাতের তথ্য বেরিয়ে আসে।

এর সঙ্গে বেরিয়ে আসে আড়াই হাজার খালি বস্তা বিক্রির সব অর্থ এবং চালানপত্রসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরিদর্শন বহিসহ নানা দুর্নীতি চিত্র।

এছাড়া তার অতীত কর্মস্থলগুলোতেও এ ধরনের দুর্নীতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিচ্ছেন তদন্তকারী সংস্থাগুলো।

ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে খাদ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক সালাউদ্দিন আহমদকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক এনামুল হক ভূঁইয়া সেলিম বাদী হয়ে চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল লাকসাম থানায় একটি মামলা করেন।

লাকসাম খাদ্য গুদামের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, আপাতত এ বিষয়ে আমার কোনো কথাবার্তা না বলাই ভালো।

এ বিষয়ে লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, থানায় এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। দুদক বিষয়টি তদন্ত করছে।

মামলার পর থেকে অভিযুক্ত ওই গুদাম কর্মকর্তা মহিউদ্দিন পলাতক এবং ব্যবহার করা মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৭
এএটি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।