ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজেট প্রণয়নে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর তাগিদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৭
বাজেট প্রণয়নে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর তাগিদ

ঢাকা: বাজেট প্রণয়নে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন আলোচকরা। বক্তারা বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নে জনসম্পৃক্ততা নেই। জাতীয় সংসদ, সংসদীয় কমিটি- এমনকি মন্ত্রীরাও এটি প্রণয়নের সময় কোনো ভূমিকা পালন করছেন না।

শনিবার (১৭ জুন) রাজধানীর হোটেল লেকশোর হোটেলে ‘সিপিডি বাজেট সংলাপ-২০১৭’ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান বলেন, আমাদের দেশে বাজেটের বড় দুর্বলতা হলো এতে জনসম্পৃক্ততা নেই।

ভারতসহ বিভিন্ন দেশে বাজেট প্রণয়নে বড় ভূমিকা রাখে সংসদীয় কমিটি। কিন্তু আমাদের দেশে এর অনুমতি নেই। সংসদে মন্ত্রীরাও বাজেটের সমালোচনা করছেন। তার মানে এটি প্রণয়নে তাদের কোনো ভূমিকা নেই।

নতুন ভ্যাট আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভ্যাটের এই হার অনেক বেশি। তাছাড়া এ আইনের সুবিধা নিতে হলে সঠিক হিসাব সংরক্ষণ করতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এ হিসাব রাখতে অভ্যস্ত নন। ভবিষ্যতে এই অভ্যস্ততা অর্জনের জন্য তাদের সুযোগ দেওয়া দরকার।
 
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত সংলাপে দাবি করা হয়, নতুন ভ্যাট আইনের কারণে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়বে। দেশে প্রবৃদ্ধি হলেও কর্মসংস্থান কমা ও ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ কমায় প্রবৃদ্ধি অর্থহীন হয়ে পড়ে।
 
সিপিডি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে সংলাপে অংশ নেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. আবদুর রাজ্জাক খানসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, এনজিও, উন্নয়ন সহযোগী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি ও অর্থনীতিবিদরা।
 
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, বাজেট এক সময় রুদ্ধদ্বার বিষয় ছিল। কিন্তু এখন এটা ছড়িয়ে গেছে। সবাই আলোচনা করছে। গ্রামের লোকজনও এখন প্রবৃদ্ধি বোঝে।
 
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ বলেন, ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ বাড়ছে না। এটি আশঙ্কার কথা। বাজেটে বড় বড় প্রকল্পে বরাদ্দ বেশি দেওয়া হচ্ছে। অর্থের অপচয় ছাড়া এটি কিছুই নয়।
 
সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাজেটে শুধু সংখ্যার উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গুণমানের উপর কোনো গুরুত্ব নেই।

কি-নোট পেপারে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হলে বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ ভ্যাট যুক্ত হবে। এছাড়া গ্যাসের দামও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে। এশিয়ার অন্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশেও ভ্যাট হার ১২ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৭
এমএফআই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।