বেসরকারি তৈরি পোশাক শিল্প কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকতা নোমান হোসেনকে জিজ্ঞাসা করলাম, সবাই যদি শহরমুখী হয়, গ্রামে তাহলে দিন দিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাড়ছে কেন? এবং জমির দামেরই বা ঊর্ধ্বগতি কেন?
জবাবে তিনি বলেন, এই অঞ্চল থেকে বিদেশ বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে অনেক মানুষ রয়েছেন। গ্রাম থেকে পুরুষের সংখ্যা কমের কারণ উপার্জন করতে যাওয়া।
রামগঞ্জ টাওয়ারসহ উপজেলার শহরগুলোতে দোকানগুলো জমজমাট। ঈদের আগের দিন রোববারও দেখা যায় মার্কেটগুলোতে বিক্রির হিড়িক। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদে কাপড়-চোপড়ের মার্কেটে নারীদের ভিড় বেশি দেখা গেছে। মূলত প্রবাসীদের পরিবারগুলোই কেনাকেটা করতে আসছেন বেশি।
লক্ষ্মীপুরে কাপড় ব্যবসায়ী সবুর আলী বাংলানিউজকে বলেন, রাজধানী বা চট্টগ্রাম থেকে আসা মানুষেরা সেখান থেকেই কাপড় কিনে আনেন। কিন্তু প্রবাসীদের পরিবারগুলো জেলা বা উপজেলা থেকেই কেনেন।
রায়পুরের জুয়েল বলেন, আমার পরিবারের অনেকেই বিদেশে থাকেন। বেশিরভাগই মধ্যপ্রাচ্যে থাকেন। ঈদের আগে তারাও বোনাস পান এবং বাড়িতে টাকা পাঠান বেশি। সত্যি বলতে এ অঞ্চলে খুব কম পরিবার পাওয়া যাবে, যার এক থেকে তিন জন সদস্য দেশের বাইরে না আছেন। মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও ইউরোপের ইতালি, ফ্রান্স, পর্তুগাল আর বৃটেনে অনেক লোক থাকেন। এছাড়াও আমেরিকা এবং মালয়েশিয়াতেও প্রচুর লক্ষ্মীপুরের প্রবাসী রয়েছেন।
প্রবাসীদের এ টাকায় গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা। ঈদে তা আরো বেশি জমজমাট হয়ে ওঠে। সঙ্গে শহুরে চাকরিজীবিদের অর্থ যায় কাঁচা বাজার থেকে শুরু করে শখের দ্রব্য বিক্রির দোকানগুলোতেও।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৬ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৭
এমএন/বিএস