বুধবার (৫ জুলাই) বিকেলে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুহিত এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ভ্যাটের কারণে বাজেট বাস্তবায়নে ২০ থেকে ২১ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, হলি আর্টিজান ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সরকার। এরইমধ্যে টাকা বরাদ্দ হয়ে গেছে। এখন তা বিতরণ পর্যায়ে রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থচুরির বিষয়ে সিআইডি যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সে সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই।
এর আগে বুধবার সচিবালয়ে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী। একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে এসেছিলেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন নেতারা। এ সময় তারা অর্থমন্ত্রীর কাছে কিছু দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। তারা বিশেষ ইনক্রিমেন্টও দাবি করেন।
জবাবে মুহিত বলেন, কিছুদিন আগেই আমরা নতুন পে-স্কেল দিয়েছি। তাই নতুন ইনক্রিমেন্টের প্রশ্নই আসে না। পরিবর্তে প্রকৌশলীদের দেশের কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষ জনবল তৈরিতে মনোনিবেশ করার পরামর্শ দেন তিনি।
মুহিত বলেন, আমাদের সরকার ২০১১ সালে স্কিলস ফর ইকনোমিক ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট হাতে নেয়, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক আমাদের সহযোগিতা করে। এই প্রজেক্টটি আমব্রেলা প্রোজেক্ট, এর অধীনে গত ছয় বছরে ৮-১০টি প্রজেক্ট হয়েছে। সেখানে একটা সমস্যা অত্যন্ত প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে, আমাদের অ্যাভারেজ স্কিলস কম। এখনও আমরা যেসব মানুষ রপ্তানি করি মোস্টলি আনস্কিল্ড, আর স্কিলসড হলেও সামান্য স্কিল্ড।
মানুষের কর্মদক্ষতা বাড়ানোর বিষয়ে সরকার সচেতন জানিয়ে মুহিত বলেন, এজন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, প্রত্যেক উপজেলার একটি করে কারিগরি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। এটাতে সময় লাগবে, সময় ছাড়াও অর্থসাপেক্ষ। শিক্ষক পাওয়াই সবচেয়ে বেশি কষ্ট, শিক্ষক ভালো না হলে তো স্কিলের কোনো দাম থাকে না।
তিনি বলেন, আমাদের এখন প্রধান গোলই হলো টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিটিউশনগুলোর সংখ্যা বাড়ানো। এজন্য জনবল প্রয়োজন, বিশেষ করে ট্রেইনার প্রয়োজন। আমরা এ সমস্যা নিয়ে সচেতন। কারণ অর্থনৈতিক স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে বিষয়টি ঘনিষ্টভাবে সংশ্লিষ্ট।
অর্থবর্ষ নির্ধারণ নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা জুন থেকে জুলাই পর্যন্ত অর্থবছর নির্ধারণ করে কাজ করি। কিন্তু এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষা থাকায় প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না। এটা নিয়ে একটি গণবিতর্ক হতে পারে। আমরা দু’টি বিকল্প ভাবছি। এর একটা হলো জানুয়ারি টু ডিসেম্বর অন্যটা মার্চ টু এপ্রিল। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। বর্তমানটা ও বাকি দু’টি নিয়ে আলোচনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৭
আরএম/এএ