দেখতে একই রকম হওয়ায় দেশি মুরগির নামে দেদারসে পাকিস্তানি মুরগি চালিয়ে যাচ্ছেন বিক্রেতারা। তবে স্বাদে আলাদা হওয়ায় রান্নার পর ক্রেতারা বুঝতে পারছেন তাদেরকে ঠকানো হয়েছে।
শুক্রবার (০৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে।
তবে একই দামে দেশি মুরগি বলে পাকিস্তানি সোনালি মুরগি বিক্রি করা হচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়।
জানতে চাইলে আল-মদিনা মুরগি আড়তের মালিক আব্দুর রহমান প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে বার বার প্রশ্নে বিষয়টি অগোচরে স্বীকার করেন দোকানের মালিক।
তিনি বলেন, দেশির সঙ্গে সোনালি মুরগি আমরা মিশাই না। এটা আড়ৎ থেকে মিশিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দোকানে সোনালি মেশালে ৩২০ টাকা কেজি বিক্রি করি। অনেকে তো ৩৫০ টাকাতেই বিক্রি করেন।
এদিকে এভাবে বিক্রেতাদের জালিয়াতির কারণ হিসেবে বাজার নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের অবহেলার কথা বলছেন ক্রেতারা। সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এর সত্যতাও মিলেছে কিছুটা।
দেখা গেছে, ভোর থেকে বাজার শুরু হলেও সকাল ১০টা পর্যন্ত বাজারের মূল্য তালিকা হালনাগাদ করা হয়নি। যেটি টানানো রয়েছে তা সবশেষে ২৪ জুন হালনাগাদ করার রেকর্ড। আবার বোর্ডে অধিকাংশ পণ্যের পাশে কোনো দর লেখা নেই। যে দু’একটা লেখা রয়েছে তাও কয়েকদিন আগের হওয়ায় লেখাগুলো ঝাপসা হয়ে গেছে।
ক্রেতা আক্তারুজ্জামান বলেন, আমি ঈদের আগে এ বাজার থেকে মুরগি কিনে ঠকেছি। দেশি মুরগি কিনে বাসায় রান্নার পর বুঝতে পারলাম এটা দেশি নয়। এর স্বাদ দেশি মুরগির মতো নয়। তবে অনেক মুরগির মধ্যে দেখে বোঝা যায় না যে এটা দেশি না সোনালি।
এ বিষয়ে কারওয়ান বাজারের দায়িত্বে থাকা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৫) এস এম অজিয়ার রহমান মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে বলেন, সব বিষয়ে ম্যানুয়ালি আমাদের মনিটরিং করা সম্ভব নয়। ক্রেতাদের দায়িত্ব দেখে কেনা।
গত ২৪ জুনের পর বাজার মূল্যের বোর্ড আপডেট করা হয়নি এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা ঈদের আগে নিয়মিত আপডেট করতাম। ঈদের পর এখনো করা হয়নি। ।
কমেছে দেশি মুরগির দাম, পেঁয়াজ-রসুন অপরিবর্তিত
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৭
এসআইজে/জেডএস