শুল্ক কমার কারণে দেশি চালের চেয়ে আমদানি করা ভারতীয় চালের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে। তবে সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে নতুন নিয়মে চাল আমদানি শুরু হলেও দেশের স্থানীয় বাজারে চালের দামে এখনও প্রভাব পড়ছে না।
বন্দর সূত্র জানায়, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির পর রোববার থেকে বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়। ঈদের আগে চাল আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করে সরকার। যার প্রভাবে আগের চেয়ে চাল আমদানি বেড়েছে।
বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে মোটা চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। আর ভারতে মোটা চালের দাম ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি। তাই লাভজনক হওয়ায় ভারত থেকে চাল আমদানি করছেন আমদানিকারকরা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান থেকে আসছে এসব চাল। আর বেশিরভাগ চাল আমদানি করছেন ঢাকার আমদানিকারকরা।
বন্দর পরিচালনার দায়িত্বে থাকা পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের কর্মকর্তা মাইনুল ইসলাম জানান, আমদানি শুল্ক কমার পর বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দিনে ১২০ ট্রাক চাল এসেছে এবং বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৩০/৪০ ট্রাক চাল বন্দরে আসছে। বাংলাদেশে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে চাল আমদানি বেড়েছে বলে মনে করেন তিনি।
সোনামসজিদ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন, মাঝে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারো চাল আমদানি শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিশিষ্ট চাল ব্যবসায়ী মেসার্স নবাব অটো রাইস মিলের চেয়ারম্যান আকবর হোসেন জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে হাওর অঞ্চলে ধানের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেশে চালের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ঘাটতি মেটাতে বিদেশ থেকে চাল আনতে শুরু করেছেন আমদানিকারকরা। ফলে দেশে চালের বাজার স্থিতিশীল হবে বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, ০৭ জুলাই, ২০১৭
আরএ