এ কারণে ফেরিঘাটগামী যানবাহনের রাজস্ব বাবদ প্রতিমাসে কমপক্ষে ১ কোটি টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। বিকল্প সড়ক দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হওয়ায় এ রুটের পরিবহন মালিকদের সময় ও অর্থের অপচয় হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে হরিণা ফেরিঘাটের পার্কিং ইয়ার্ড ও ওয়েব্রিজ স্কেল ফাঁকা দেখা গেছে। কাজ না থাকায় অলস সময় কাটাচ্ছেন বিআইডব্লিউটিসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, ওয়েব্রিজ স্কেলে যানবাহন থেকে ৫ লক্ষাধিক টাকার স্থলে বর্তমান গড় আয় দেড় লাখ টাকায় নেমেছে। গত তিনমাসে কমপক্ষে ৩ কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার।
চট্টগ্রাম থেকে খুলনাগামী ট্রাকের চালক মোজাম্মেল মিয়া জানান, ফেরিঘাটের চাঁদপুর অংশে ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তা থেকে চান্দ্রা চৌরাস্তা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার রাস্তা খুবই নাজুক। এ সড়কে প্রায়ই ট্রাক উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ কারণে বিকল্প সড়কে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী চৌরাস্তা হয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তা অতিরিক্ত ঘুরে ফেরিঘাটে আসতে হয়। এতে করে তাদের অর্থ ও সময় দু’টিরই ব্যয় বাড়ছে। খুব শিগগিরই এ সড়ক মেরামত করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের হরিণা ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) পারভেজ খান বাংলানিউজকে জানান, ফেরিঘাটের দুই পাড়ের সড়ক মেরামতে চাঁদপুর ও শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন তিনি।
চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত দত্ত বাংলানিউজকে বলেন, হরিণা ফেরিঘাট থেকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়ালপুর সড়কের মেরামত কাজ চলতি জুলাই মাসেই শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। চাঁদপুর অংশের এ ১১ কিলোমিটার সড়কের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে ১৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। সড়ক ও জনপথ বিভাগ, কুমিল্লা থেকে এ কাজের টেন্ডারও আহবান করা হয়েছে। আগামী ১৭ জুলাই টেন্ডার খোলার পর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৭
এএসআর