গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর শেরে-বাংলা নগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সংশ্লিষ্টদের একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) একনেকে অনুমোদনের জন্য উঠছে চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প।
চার লেন বিশিষ্ট সাড়ে ১৬ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে তিন হাজার ২৫১ কোটি টাকা। জুলাই ২০১৭ থেকে জুন ২০২০ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পের আওতায় ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ২৪টি র্যাম্প নির্মাণ করা হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে জুড়ে থাকবে আড়াই হাজার এলইডি বাতি। রোড মেইন্টেনেন্স, জমি অধিগ্রহণ ও যানবাহন কেনা বাবদ অর্থের সংস্থান রাখা হয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, চট্টগ্রাম শহরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প গ্রহণ করতে বলেছেন। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের ভিত্তিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। যারা বিনিয়োগ করবেন তারা ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে টোলের মাধ্যমে টাকা তুলে নেবেন। এতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।
সিডিএসূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিমানবন্দরে যাতায়াতের পথ সুগম হবে। শহরে ভ্রমণ দূরত্ব ও সময় কমে আসার পাশাপাশি যানজট কমে আসবে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক শহর এটি। দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের সিংহভাগই চট্টগ্রামে সম্পন্ন হয়। বর্তমানে এই শহরে ৪০ লাখ লোকের বসবাস। প্রতিবছর প্রায় এক লাখ জনসংখ্যা নতুন করে যোগ হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে শহরে যানজট বেড়েই চলেছে। ১৯৯৫ সালে ‘চিটাগাং’ মেট্রোপলিটন মাস্টার প্ল্যান’ প্রণয়ন করা হয়। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম শহরে ফোর লেন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৭
এমআইএস/ জেএম