বহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে চালের মজুদ ও আমদানির সর্বশেষ অবস্থা জানাতে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান মন্ত্রী।
কামরুল ইসলাম বলেন, কালো তালিকাভুক্ত এসব মজুদদারের কাছ থেকে আগামী তিন বছর চাল কিনবে না সরকার।
তিনি বলেন, হাওরাঞ্চলে অকাল বন্যা হওয়ার পর থেকে অসাধু ব্যবসায়ীরা চাল মজুদ করেছিল। তাই আমরা সরকারি দাম ও বাজারদরের ফারাক থাকায় চাল সংগ্রহ করতে পারিনি। কৃষকদের স্বার্থ চিন্তা করে আগে ট্যারিফ প্রত্যাহার করা হয়নি। একজন কৃষকের এক মণ চাল উৎপাদন করতে সাত থেকে সাড়ে সাতশো টাকা খরচ পড়ে। কৃষকরা যাতে উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পান সেজন্য ট্যারিফটা দেরিতে ওঠানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা আড়াই লাখ মেট্রিকটন চালের মধ্যে ২০ হাজার মেট্রিকটনের প্রথম চালান বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) চট্টগ্রামের বহিঃনোঙরে পৌঁছেছে। কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে পারলে শুক্রবার থেকে খালাস করতে পারবো। দেরি হলে রোববার থেকে খালাস শুরু হবে। ২২ হাজার মেট্রিকটনের একটি চালান ১৮ জুলাই, ২১ ও ৩০ হাজার টনের দু’টি চালান আসবে ২৪ জুলাই। আশা করছি ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন দেশে পৌঁছাবে।
টেন্ডারের মাধ্যমে ভারত থেকে কেনা অধিকাংশ চালের মধ্যে একটি চালান ১৮ ও আরেকটি ২০ জুলাই আসবে জানিয়ে বলেন, এছাড়া মায়ানমার, থাইল্যান্ড থেকে আসা চাল তিন চার দিনের মধ্যে আসবে। পাইপলাইনে থাকা সাড়ে লাখ মেট্রিকটন চালের অধিকাংশ জুলাই মাসের মধ্যে পেয়ে যাচ্ছি। বাকিগুলো আগস্টের মধ্যে চলে আসবে।
কামরুল বলেন, ১৬ জুলাই ভারতের প্রতিনিধি দল আসছে সমঝোতার জন্য। আলোচনার পর দাম ও পরিমাণ নির্ধারণ হলে জিটুজি পদ্ধতিতে ভারত থেকেও চাল আমদানি করা হবে। থাইল্যান্ডের প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসবে ২৪ জুলাই। ১ বা ২ আগস্ট কম্বোডিয়া যাবো। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে জিটুজি পদ্ধতি চাল আমদানি করা হবে।
মায়ানমারও চাল দিতে আগ্রহী জানিয়ে বলেন, বেসরকারিভাবে ভারত থেকে ঈদের পর ৮৪ হাজার মেট্রিকটন চাল চলে এসেছে। অভ্যন্তরীণভাবে চাল কেনার জন্য যাদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। ট্যারিফ তুলে দেওয়ার পর তাদের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার টন কেনার। ইতিমধ্যে ১লাখ মেট্রিক টন আমাদের ঘরে চলে এসেছে। আগস্টের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ৩ থেকে ৪ লাখ টন হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৭/আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা
এসই/এএ