রেমিট্যান্স কমার জন্য ব্যাংকের মাসুল ও চার্জকে একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে অর্থমন্ত্রণালয়। এ চার্জ কমানোর জন্য বুধবার (১৯ জুলাই) রেমিট্যান্স আহরণকারী শীর্ষ ২০ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখ্য মুখপাত্র শুভংকর সাহা বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেমিট্যান্স গ্রহণকারী শীর্ষ ২০টি ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। সরকার এরইমধ্যে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ডলারের মূল্য কমে যাওয়ায় এবং তেলের মূল্য কমে যাওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের কেউ কেউ দেশে অর্থ পাঠাতে ব্যাংকিং চ্যানেলের পরিবর্তে মোবাইল ব্যাংকিংসহ অবৈধ চ্যানেল ব্যবহার করছেন। আজকের বৈঠকে চলতি অর্থবছরের রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ কমাতে সরকারি মনোভাব বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংকারদের কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগামী ২৪ জুলাই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফের বৈঠক করবে। তিনি বলেন, আমরা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে রেমিট্যান্স গ্রহণকারীদের ইনটেনসিভ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে পরামর্শ দিয়েছি।
এতে ব্যাংকাররা বলেন, রেমিট্যান্স নেওয়ায় ব্যাংক কোনো খরচ নেয়না। যে খরচ হয় তা উৎস দেশের এক্সচেঞ্জ হাউজ বা ব্যাংকগুলোর খরচ। তাই খরচ কমানোর ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর কিছু করার নেই। তারা জানান, রেমিট্যান্স আহরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রচার-প্রচারণা এবং বিদেশে গিয়ে কাজ করা অনেক কঠিন হয়ে গেছে। রেমিট্যান্স সংগ্রহ বৃদ্ধির জন্য কর্মী প্রেরণ করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো ভিসা দিচ্ছে না। এর সমাধান সরকারকে না করলে রেমিট্যান্সে আরও ধস নামবে।
রেমিট্যান্স বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীও নির্দেশনা দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বিদায়ী অর্থবছরে আগের অর্থবছরের চেয়ে ১২,৭৬৯ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কম হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
এসই/জেডএস