এবার ওয়ালটন এসিতে নতুন সংযোজন হচ্ছে- আয়নাইজার প্রযুক্তি। এটি ব্যবহারের ফলে রুমের বাতাস হবে ধুলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত।
জানা গেছে, চলতি মাসেই বিশ্বের লেটেস্ট আয়নাইজার প্রযুক্তির এসি বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। প্রথম ধাপে এ প্রযুক্তির ২৪ হাজার বিটিইউ’র (ব্রিটিশ থারমাল ইউনিট) এসি বাজারে ছাড়া হয়েছে। যার দাম ধরা হয়েছে ৫৬ হাজার ৯শ টাকা। এ প্রযুক্তির ১৮ হাজার বিটিইউ’র এসি শিগগিরই বাজারে আসছে। এছাড়া চলতি মাসেই ক্রেতারা পাচ্ছেন ২৪ হাজার বিটিইউ’র ইন্টিলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি।
আয়নাইজার সম্পর্কে ওয়ালটন এসি সোর্সিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান মো. ইসহাক রনি বলেন, এটি একটি উচ্চ প্রযুক্তির ডিভাইস। যা নেগেটিভ আয়ন সৃষ্টি করে রুমের বাতাস থেকে ধুলা, ব্যাকটেরিয়া ও বাজে গন্ধ ফিল্টারিং করে নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যকর ও বিশুদ্ধ বাতাস। এই প্রযুক্তিকে তিনি ‘লাং ডাক্তার’ নামে অভিহিত করেছেন।
ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের দাবি- অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, সঠিক বিটিইউ ও আন্তর্জাতিক উচ্চমান, গোল্ডেন ফিনের ব্যবহার, সাশ্রয়ী মূল্য, ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের সহজ কিস্তিতে কেনার সুবিধা, দেশব্যাপী বিস্তৃত সেলস ও সার্ভিস পয়েন্ট থাকায় গ্রাহক পছন্দের শীর্ষে উঠে এসেছে ওয়ালটন এসি।
একসময় দেশের এসির বাজার ছিল পুরোপুরি আমদানি নির্ভর। ফলে, সঠিক বিটিইউ সম্পন্ন এসি পাওয়া ছিল দুষ্কর, অধিকাংশ এসি নিম্নমানের এবং দামও ছিল আকাশ ছোঁয়া। কিন্তু, গত কয়েক বছর ধরে ওয়ালটন দেশেই উচ্চমানের এসি তৈরি করায় তার সুফল ভোগ করছেন ক্রেতারা।
গাজীপুরের চন্দ্রায় নিজস্ব কারখানায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে মানসম্পন্ন এসি তৈরি করছে ওয়ালটন। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রফতানিও হচ্ছে। অত্যাধুনিক মেশিনারিজ স্থাপনের পরিপ্রেক্ষিতে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আনুষঙ্গিক কাঁচামাল নিজস্ব কারখানায় তৈরির ফলে উৎপাদন খরচ কমেছে বহুলাংশে। ফলে বাজারে এসির দাম কমে এসেছে।
ওয়ালটন এসি বিপণন বিভাগের প্রধান আব্দুল বারী বলেন, চলতি বছর এসির সিংহভাগ বাজার দখলে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫৭ শতাংশ। বাজারে ছাড়া হয়েছে দেশের আবহাওয়া উপযোগী অসংখ্য মডেলের এসি। এর মধ্যে রয়েছে ১৮ হাজার বিটিইউ’র ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি। যার মূল্য ধরা হয়েছে ৬৫’হাজার টাকা। চলতি মাসেই ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির ২৪ হাজার বিটিইউ’র এসিও আসছে।
বাজারে ৩৫ হাজার টাকায় ১০,৫০০ বিটিইউ’র, ৪৩ হাজার ৯০০ টাকায় ১৭,২০০ বিটিইউ ও ৫৪ হাজার ৬০০ টাকায় ২১,০০০ বিটিইউ’র ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এসি পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এসির কনডেনসারে অ্যান্টি করোসিভ হাইড্রফিলিক গোল্ডেন কালার ফিন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ওয়ালটন। এতে এসির স্থায়ীত্ব আরো বাড়বে।
এ প্রসঙ্গে ওয়ালটন আরঅ্যান্ডডি বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী তাপস কুমার মজুমদার বলেন, গোল্ডেন ফিন হলো এসির কনডেন্সারে হিট এক্সেঞ্জারের পৃষ্ঠতলে ক্ষয় ও মরিচারোধক হাইড্রফিলিক আবরণ। যা ধূলো, ময়লা, বাতাসের আর্দ্রতা ও উষ্ণতার কারলে সৃষ্ট ক্ষয় রোধ করে। সেইসঙ্গে তা কনডেন্সারে হিট এক্সেঞ্জারের স্থায়িত্ব ও কার্যকারিতা বাড়ায়। এটি ব্যবহারের ফলে ক্রেতাকে ঘনঘন এসি পরিষ্কার বা মেরামতের ঝামেলা পোহাতে হয় না।
ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, ইনভার্টার প্রযুক্তির এসিতে সেন্সর থাকায় ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা বুঝে সেই অনুযায়ী রেফ্রিজারেন্ট সরবরাহ করে এবং ঘর ঠাণ্ডা হয়ে গেলে কম্প্রেসার ঘুমন্ত অবস্থায় থাকে। প্রয়োজন অনুযায়ী তাপমাত্রা সরবরাহ করে বিধায় এতে বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম হয়। কম্প্রেসারের স্থায়ীত্বও বাড়ে।
ওয়ালটনের রয়েছে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ আরঅ্যান্ডডি (উন্নয়ন ও গবেষণা) কেন্দ্র। অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি এয়ারকন্ডিশনার নিয়েও প্রতিনিয়ত গবেষণা হচ্ছে। দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা আবহাওয়া স্ট্যান্ডার্ড, সাশ্রয়ী মূল্যে বেশি কার্যকর এসি তৈরির জন্য গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কঠোরভাবে কিউসি বা কোয়ালিটি চেক করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
এসএইচ