ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

স্থিতিশীল সবজি-মাছ-চালের বাজার

মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৭
স্থিতিশীল সবজি-মাছ-চালের বাজার ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঈদ শেষ হওয়ার মাসখানেক পর মোটামুটি স্থিতিশীল রাজধানীর বাজার। সবজি, মাছের দাম বাড়েনি। আর চালের দাম বেশি হলেও রয়েছে স্থিতিশীল। আর গরু ও ব্রয়লার মুরগির দাম ঠিক থাকলেও কিছুটা বাড়তি কক মুরগির দাম।

শুক্রবার (২১ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, পশ্চিম রাজাবারের কাঁচাবাজার, শুক্রাবাদ কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।

বাজার তিনটির বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোজা ও ঈদের সময় যোগান অনুযায়ী চাহিদা বেশি থাকায় দাম কিছুটা বেশি ছিল।

কিন্তু এখন চাহিদা অনুযায়ী সবজি ও মাছের যোগানের সরবারহ যথেষ্ট থাকায় দাম স্থিতিশীল। এছাড়া মাংসের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসায় চাপ কমেছে সবজি ও মাছের ওপর।

সবজির বাজারে এখন স্বস্তি। নিম্নমুখী প্রায় সব সবজির দাম। কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা আক্কেল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, মাছের দাম রোজা ও ঈদ পরবর্তী যে কোনো সময়ের তুলনায় স্থিতিশীল। এভাবে চলতে থাকলে বাজারে কোনো সমস্যা হবে না। যদি হঠাৎ করে মাংসের দাম বেড়ে যায় তাহলে এর প্রভাব মাছের বাজারে পড়বে।

পশ্চিম রাজাবাজারের সবজি বিক্রেতা জুয়েল আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, রোজা ও ঈদের বাজারের মতো এখন আর সবজির ওপর চাপ নেই। ক্রেতা চাহিদা অনুযায়ী সবজির যোগান স্বাভাবিক রয়েছে। আশা করি কোরবানির ঈদের আগে সবজির বাজারের দাম কমা ছাড়া বাড়বে না।

শুক্রাবাদ কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা রাব্বী রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির বাজার ও মাছের বাজারে কিছুটা দাম কমেছে। এই দু’টি বাজার এখন মোটামুটি স্থিতিশীল বলা চলে। তবে চালের বাজারটা আরও স্থিতিশীল হওয়া প্রয়োজন।

ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্য মতে, সবশেষ সবজির খুচরা বাজারের দর: পটল ৩০ টাকা, গাঁজর ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ১০ টাকা কমে ১০০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা, দুই প্রকার টমেটো যথাক্রমে ৮০-১৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা পেঁপে ৩০ টাকা, জালি কুমড়া পিস ২৫-৩০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, করলা ৪৫-৫০ টাকা ও ধনিয়াপাতা ১০০ টাকা করে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে।

মাছের খুচরা বাজারের দর: কাতল‍া মাছ ২২০ টাকা, রুই মাছ ২৩০-২৪০ টকা, পাঙ্গাশ মাছ ১১০-১২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০-১৭০ টাকা ও কার্প মাছ ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া দাম অপরিবর্তিত রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিকেজি এক নম্বর মিনিকেট চাল ৫৪-৫৫ টাকা, নাজিরশাইল ৫৮-৬০ টাকা ও মোটা (গুটি, স্বর্ণা, বিআর-২৮, পারিজা) ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি দেশি ডাল ১২৫-১৩০ টাকা, ভারতীয় ডাল ১২৫ টাকায়, চিনি ৬৫-৭০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি ২৮-৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ টাকা দেশি রসুন কেজিপ্রতি ৮০ টাকা, ভারতীয় রসুন ১২০ টাকা, দেশি আধা প্রতিকেজি ১০০ টাকা ও চায়না আধা প্রতিকেজি ৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা, কক ২২০ টাকা, গরুর মাংস ৫০০ টাকা ও খাসির মাংস ৭৫০-৮০০ টাকায় কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৭
এমএসি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।