ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

২০২০ সালের মধ্যে দেশ শিশুশ্রম মুক্ত হবে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২০ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
২০২০ সালের মধ্যে দেশ শিশুশ্রম মুক্ত হবে বক্তব্য রাখছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু

ঢাকা: আগামী ২০২০ সালের মধ্যে দেশ শিশুশ্রম মুক্ত হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। সরকার এ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তিনি।  ‘নিউ অ্যাপ্রোচেস টু হাইজিন ফর বাংলাদেশি গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএএসএফ বাংলাদেশ লিমিটেড।

অনুষ্ঠানে জার্মানভিত্তিক বিশ্বখ্যাত কেমিক্যাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএএসএফ তাদের লভ্যাংশ থেকে সরকারের শ্রমিক কল্যাণ ফান্ডের নির্ধারিত অংশ শ্রম প্রতিমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

অর্থের রেপ্লিকা চেক গ্রহণ শেষে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আপনারা যেভাবে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে শ্রমিকের অংশ বুঝিয়ে দিলেন ঠিক এমনিভাবে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুদেরকে পুনর্বাসনে সহযোগিতা করুন।

আপনাদের সামর্থে্যর মধ্যে যদি ১০টি ২০টি শিশুকেও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে সরিয়ে লেখা-পড়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন, তাহলে দেশের জন্য সেটা অনেক বড় কাজ হবে-বলেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে দেশ ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম মুক্ত হবে। এ লক্ষ্য সামনে রেখে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের এই লক্ষ্য পূরণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। যার যার জায়গা থেকে সহযোগিতা করতে হবে।

কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ ভাগ শ্রমিকদের বুঝিয়ে দেওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা কিন্তু দয়া, করুনা, বা অনুগ্রহ নয়। এটা শ্রমিকদের অধিকার। এটা না দিলে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবে।

তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের সময় সরকারের শ্রমিক কল্যাণ ফান্ডে মাত্র ৮ কোটি টাকা ছিল। কারণ, কোম্পানির মালিকরা লভ্যাংশ থেকে শ্রমিকের অংশটা বুঝিয়ে দিতো না। এখন শ্রমিক কল্যাণ ফান্ডে আড়াই শ’ কোটি টাকা জমা হয়েছে। যখনই শ্রমিকরা কোনো বিপদে পড়ছে, সরকার তাদেরকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে।

শ্রমিকের পাওনা বুঝিয়ে দিলে কোম্পানির নিট লাভ বেড়ে যায় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শ্রমিকরা যখন তাদের পাওনা বুঝে পায়, তখন কাজের প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়ে। বেড়ে যায় কোম্পানির আয়। এতে করে মালিক ও শ্রমিক উভয় পক্ষই লাভবান হয়। দেশেরও উপকার হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের সবিচ মিকাইল শিপার, বিএএসএফ দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান র‌্যামন র‌্যামাসেন্ডার, বিএএসএফ বাংলাদেশে লিমিটেড’র চেয়ারম্যান সুজন শাহা, বিজিএমইএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ৪ জন মহিলা গার্মেন্ট শ্রমিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
এজেড/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।