এ লক্ষ্যে দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যা ঢাকায় আগামী ৯ ও ১০ আগস্ট আয়োজন করা হয়েছে।
থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনিম বাংলানিউজকে সোমবার (২৫ জুলাই) বিকেলে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বর্তমানে বার্ষিক এক বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হচ্ছে। বৈঠকের ফলে আরও বাড়বে। আগস্টের আয়োজন মূলত এটি নিয়েই।
অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বাংলা-থাই সম্পর্ক বন্ধুত্বের উল্লেখ করে তিনি বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও বাড়াতে পারলে লাভ দুই রাষ্ট্রেরই। বাণিজ্য ছাড়াও আমদানি-রফতানি কার্য এবং পর্যটন নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
দীর্ঘ দুই দশক পরে অর্থাৎ ১৯৯৮ সালের পর বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি। চলতি মাসে সপ্তম যৌথ কমিশনের এই বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে যোগ দিতে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রামুদউইনাই ঢাকায় আসেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, থাইল্যান্ড বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগ্রহী।
প্রধানমন্ত্রী বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে থাইল্যান্ড থেকে আরও বিনিয়োগ আহ্বান করেছেন। বিশেষ করে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ খাত ও পর্যটনে। প্রধানমন্ত্রী জানান, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে হবে এবং বাণিজ্য আরও বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশে দেশটির বিনিয়োগ রয়েছে দেড় বিলিয়ন ডলারের মতো। দুই দেশের বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ এক বিলিয়ন ডলার।
থাইল্যান্ড বাংলাদেশের কাছে দুই লাখ মেট্ট্রিক টন চাল বিক্রি করতে চাওয়ায় ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
২০১০ সালে থাইল্যান্ডের রাজকন্যা প্রিন্সেস শিরিন ধর্নের বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে আগামী বছরের শুরুর দিকে আবারও রাজকন্যা বাংলাদেশ সফরে এলে খুশি হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
জেজেড/আইএ