বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সি ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) প্রকাশিত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
জঙ্গী, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড অর্থায়ন, ঘুষ-দুর্নীতি বা অবৈধ কোনো লেনদেনের বিষয়ে সন্দেহ হলে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে রিপোর্ট করে।
এছারাও সাত লাখ টাকার ওপরে যে কোনো ধরনের লেনদেন হলে তা নগদ লেনদেন প্রতিবেদন (সিটিআর) হিসেবে রিপোর্ট করতে হয়।
বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা, ক্যাপিটাল মার্কেট সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও অর্থপ্রেরণ ও আনয়ণকারী প্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৬৮৭টি নগদ লেনদেন চিহ্নিত করেছে। প্রতিমাসে চিহ্নিত করেছে গড়ে ১৪১টি লেনদেন। আগের অর্থবছর প্রতিমাসে এই লেনদেনের সংখ্যা ছিল ৯১টি করে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, অর্থপাচার, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন, চোরাচালানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ব্যাংকের মাধ্যমে নগদ টাকার লেনদেন বাড়ছে।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে নগদ লেনদেনের (সিটিআর) ১ কোটি ২৭ লাখ রিপোর্ট পাঠিয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। সঙ্গে অর্থের পরিমাণ ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা। তার আগের অর্থবছরের তুলনায় সিটিআর বেড়েছে ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৫,২০১৭
এসই/বিএস