বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে ‘দুদক হট লাইন ১০৬’ উদ্বোধনকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আট থেকে ১০ বছরের মধ্যে সব ধরনের দুর্নীতি চলে যাবে।
তিনি আরও বলেন, যাদের হাতে ক্ষমতা আছে তারাই বেশি দুর্নীতি করে। এভাবে চলতে পারতো না, যদি না মানুষ ঘুষ না দেয়। দুর্নীতি দমন ও অপসারণে আমাদের শক্তিশালী একটি কমিটি আছে। আমাদের এই কমিশন অসম্ভব শক্তিশালী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি দমনের শ্রেষ্ঠ উপায় প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার। আমরা এখন সব ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সঙ্গে জড়িয়ে গেছি। ফলে প্রযুক্তির মাধ্যমে দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব। যে কোনো দুর্নীর তদন্ত করবেন ভালো করে, তবে জিহাদী হবেন না। মনে রাখতে হবে পাবলিক সার্ভিসে যা করা প্রয়োজন সেটাই করতে হবে। অতিরঞ্জিত কোনো কিছু করা যাবে না। তাহলেই কেবল পাবলিক সার্ভিসের অগ্রগতি হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ, দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এখন দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা জঙ্গি। আমরা রক্ষকের পরিবর্তে বক্ষক হয়েছি। আমরা চাই সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে দুর্নীতি রোধ করতে। এছাড়া দুদকের এই হট লাইন চালু হওয়ায় এ বছরই দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে।
এবারের বাজেটে দুদকে অর্থায়ন বাড়ানোয় অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান দুদক চেয়ারম্যান। দুদক কর্মকর্তাদের ঝুঁকিভাতার বিষয়টি বিবেচনা করার আহ্বানও জানান তিনি। তবে যারা দুর্নীতি করে তাদের কণ্ঠ রোধ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৭
এসজে/এএটি/এসএইচ