বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সকালে শুরু হওয়া ডায়ালগ শেষে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ইউরোপীয় ইউনিয়েনের সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্যে কোনো সমস্যা চিহ্নিত হলে দ্রুতই তা সমাধান করা হবে।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে গত অর্থবছরে রফতানির ভলিয়ম বেড়েছে ১০ শতাংশ। কিন্তু পণ্যের দাম কমে যাওয়ায় টাকা বাড়েনি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে আমরা প্রস্তুবনা করেছি তারা যেন তাদের বায়ারদেরকে বিষয়টি অবহিত করেন।
সাভারের রানা প্লাজার দুর্ঘটনার পর এখন পর্যন্ত ২৭০টি কারাখানা গ্রিন ফ্যাক্টরি হিসেবে তৈরি হয়েছে। এতে আমাদের ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠান আধুনিয়কায়নে প্রচুর ব্যয় হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত পণ্য মূল্য না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
মন্ত্রী বলেন, সার্ভিস সেক্টরে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আগের যে শর্ত ছিলো তা শিথিল করা হচ্ছে। আগের নিয়ম অনুযায়ী বিদেশি বিনিয়োগকারী ব্যবসার ৪০ শতাংশ মালিকরা পেতেন। বেশি বিনিয়োকারীরা পেতেন ৬০ শতাংশ। নতুন নিয়ম অনুযায়ী এ হার ৪৯ ও ৫১ শতাংশ নির্ধারণ হয়েছে।
অ্যাকর্ড অ্যালায়েন্সের মেয়াদ ২০১৮ সালে শেষ হবে। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন এটা ২০২১ সাল পর্যন্ত চালু রাখার প্রস্তাবনা দিয়েছে। আমরা বলেছি আগে মেয়াদ শেষ হোক তারপর বিবেচনা করবো।
সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুন সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউ’র ব্যবসা বাণিজ্যের অনেক সুযোগ রয়েছে। ইউরোপীয় ব্যবসায়ীরা এদেশে বিনিয়োগ করতে চান। কিন্তু এ জন্য আইনি প্রক্রিয়া সহজতর করতে হবে।
ডায়ালগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কর্মকর্তারা ও বাংলাদেশের এনবিআর চেয়ারম্যান, সিডা’র চেয়ারম্যান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৭
আরএম/বিএস