বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর বিএআরসি অডিটোরিয়ামে ‘এমপাওয়ারিং ফার্মারস থ্রো অ্যাডভান্সড ইনফরমেশন’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই), এসিআই লিমিটেড ও নেদারল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসএনভি) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে আইডিএসএস প্রকল্পের টিম লিডার শামীম মুরাদ বলেন, একটি স্মার্টফোনের মাধ্যমে কৃষকরা সহজেই অ্যাগ্রোনোমিক প্রাকটিসের সব বিষয়ে সঠিক তথ্য নিতে পারবে। আর্দ্রতা বা আবহাওয়ার পরিবির্তিত পরিস্থিতিতে কোন ধরনের বালাই বা কীটনাশকের আক্রমণ হতে পারে, ফসলের উৎপাদন কখন কি পর্যায়ে রয়েছে সে বিষয়ে ডিএই সঠিক পূর্বাভাস দেবে।
এছাড়া আবহাওয়ার পূর্বাভাস বিশেষ করে কখন বৃষ্টিপাত, বন্যা, খরা বা অন্য প্রতিকূল পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে রয়েছে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য নিতে পারবেন কৃষক। এছাড়া বালাই ও রোগের ক্ষেত্রে করণীয় এবং শস্য উৎপাদনে আয়-ব্যয়ের তুলনামূলক বিশ্লেষণের তথ্য পাবে। আর এসব সেবা কৃষক পাবেন বিনামূল্যে।
স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেশের ১২ জেলার প্রায় ৯ লাখ ৭০ হাজার কৃষককে পাঁচটি বিষয়ের ওপর কার্যকর তথ্যসেবা প্রদানে ইনটেলিজেন্ট ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেম (আইডিএসএস) শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে এসএনভি, এসিআই লিমিটেড ও ডিএই এবং নেদারল্যান্ড স্পেস অফিস। পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৮ সালেই একটি কার্যকর অ্যাপস দেওয়া সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. গোলাম মারুফ বলেন, কৃষি বিষয়ে আগাম সতর্কতা ও ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ কৃষকের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। শস্যটি কোন পর্যায়ে রয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে কি ধরনের সার ও উপকরণ দিতে হবে সে বিষয়ে কার্যকর তথ্য দেওয়া প্রয়োজন। আবার রোগ-বালাই রোধে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালাই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সঠিক রোগ জানা থাকলে সহজেই কার্যকর ওষুধ দেওয়া সম্ভব।
সভাপতির বক্তব্যে এসিআই এগ্রিবিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ফা হ আনসারী বলেন, স্যাটেলাইট তথ্য ও আবহওয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করে কৃষককে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া ও দিকনির্দেশনা দিতে সক্ষম হবেন সরকারি-বেসরকারি খাতের সম্প্রসারণ কর্মীরা। এতে কৃষকের উৎপাদনশীলতা বাড়লে কৃষকের সার্বিক উৎপাদন বাড়বে। ফলে তখন সে কম দামে শস্য বিক্রি করেও লাভবান হবে। আর অন্য ফসল আবাদের জন্য জমি বের করতে পারবে।
সামনের দিনে তথ্য উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সঠিক তথ্য সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারলেই কৃষকের জন্য মঙ্গল বয়ে আনা সম্ভব। দেশের ৮০ শতাংশ কৃষকের কাছে পৌঁছাতে কাজ করছে এসিআই।
এসএনভির কান্ট্রি ডিরেক্টর জেসন বেলানজার বলেন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারের মাধ্যমে এ ধরনের প্রযুক্তি সম্প্রসারণ দেশের কৃষক ও সম্প্রসারণ কর্মীদের জন্য সুফল বয়ে আনবে। একইসঙ্গে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো ও কৃষককে সম্পদশালী করতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৭
এসই/এএ