বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যে সকল প্রতিষ্ঠান মূসক আইন, ১৯৯১ এর আওতায় কেন্দ্রীয় নিবন্ধন (১১ ডিজিটের বিআইএন) গ্রহণ করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন তারা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অনলাইনে কেন্দ্রীয়ভাবেই নিবন্ধিত হবেন এবং ৯ ডিজিটের বিআইএন গ্রহণ করে এই আইনের অধীন প্রচলিত নিয়মেই কর পরিশোধসহ সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
আরও বলা হয়েছে,যে সকল প্রতিষ্ঠান দুই বা ততোধিক স্থান হতে করযোগ্য পণ্যের উৎপাদন,সেবা প্রদান বা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বা আইনের আওতায় প্রতিটি স্থানের সংশ্লিষ্ট ইউনিটের জন্য আলাদা নিবন্ধন গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় দপ্তর ও সার্কেল অফিসে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তারা প্রতিটি ইউনিটের জন্য অনলাইনে ৯ ডিজিটের পৃথক নিবন্ধন গ্রহণ করবেন। এসব ইউনিটের একটি টিআইএন থাকলেও প্রতিটি ইউনিটের জন্য ৯ ডিজিটের আলাদাভাবে একটি করে নিবন্ধন গ্রহণ করতে হবে। প্রতিটি ইউনিট সেই নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে বর্তমানে যে সার্কেলে দাখিলপত্র পেশ করেন সেই সার্কেলে যথারীতি দাখিলপত্র পেশ করবেন এবং আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য কার্যক্রমও ইউনিটের বিআইএন দিয়ে ১৯৯১ আইনের অধীন পরিচালিত হবে।
এছাড়া যে সকল প্রতিষ্ঠান একাধিক ইউনিটের জন্য আলাদা নিবন্ধন (১১ ডিজিট) গ্রহণ করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন এবং ১৫ মার্চের পর কেন্দ্রীয়ভাবে সদর দপ্তরের ঠিকানায় একটি নিবন্ধন (৯ ডিজিটের) গ্রহণ করেছেন তাদেরকে নতুন করে প্রতিটি ইউনিটের জন্য আলাদাভাবে (৯ ডিজিটের) ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ জুলাই ‘২০১৭-১৮ অর্থবছরের ভ্যাট আদায় কৌশল সভায়’ ই-বিআইএন এর বিষয়টি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো এনবিআর।
কিন্তু তারও আগে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়ে এনবিআর জানিয়েছিলো, ১ জুলাই থেকে সনাতনী পদ্ধতির বিআইএনএর মাধ্যমে কোন ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালানো যাবে না। তবে এ ব্যাপারে জটিলতার সৃষ্টি হলে গত ২৮ জুন প্রধানমন্ত্রী সংসদে নতুন ভ্যাট আইন দুই বছরের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দেন। এর পরপরই গত ২৯ জুন এনবিআর ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে বিআইএন ও ই-বিআইএন দুটোই বহাল থাকার ব্যাপারে ঘোষণা দেয়। কিন্তু তার মাত্র ১২ দিন পরই এনবিআর নতুন করে ই-বিআইএন স্থগিতের ঘোষণা দেয়। কিন্তু এই ঘোষণার পর সর্বশেষ আবার বৃহস্পতিবার ই-বিআইএন চালু রাখার ঘোষণা আসলো এনবিআর এর তরফে।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ৮ লাখ ৮৪ হাজার বিআইএন নিবন্ধন আছে। এর মধ্যে মাত্র ৩২ হাজার বিআইএন নিবন্ধনধারী প্রতিষ্ঠান নিয়মিত ভ্যাট রিটার্ন প্রদান করে। এই প্রতিষ্ঠানসমূহের কাছ থেকে মোট (ভ্যাট) রাজস্ব আয়ের ৯০ শতাংশেরও বেশি পেয়ে থাকে এনবিআর।
এর আগে গত ১৫ মার্চ থেকে অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধনের পুরো কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্ব ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের।
এ বিষয়ে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন না হলেও এখন থেকে অনলাইনে ই-বিআইএন কার্যকর থাকবে। ফলে ই-বিআইএন কার্যকর ও অনলাইন ব্যবস্থা চালু থাকার বিষয়টি পরিষ্কার করতেই আমরা গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি। কেননা বিষয়টি নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৭,২০১৭
এসজে/আরআই